বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে সাদা পাথর ও জাফলং পর্যটনকেন্দ্র থেকে অবৈধভাবে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন ও যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পাথর প্রতিস্থাপন ও লুটের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) কোম্পানীগঞ্জ থানায় প্রথমবারের মতো মামলা দায়ের করেছে। সংস্থার যুগ্ম পরিচালক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
সরকারের নির্দেশে যৌথ বাহিনী গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাহাব উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তিনি তখন উপস্থিত ছিলেন না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি ভারতে চলে গেছেন।
পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ চলমান। ধলাই নদীর চর থেকে জব্দ করা ১২ হাজার ঘনফুট পাথর সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে ফেরানো হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন শ্রমিক ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রোভার স্কাউট ও বিডি ক্লিনের সহায়তায় পাথর বহন ও প্রতিস্থাপন করছে। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে আরও ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে।
পর্যটকদের আগমনও বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাথর লুটের পর বিক্রি কমে গিয়েছিল, তবে এখন কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জাফলংয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের সমন্বয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার ও জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানিয়েছেন, ভোলাগঞ্জ ও জাফলংয়ে লুটের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তালিকা তৈরি হলে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
গত তিন দিনে জাফলং ও সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু নারায়ণগঞ্জ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উদ্ধার করা হয়েছে।