বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: আধুনিক মালয়েশিয়ার রন্ধনপ্রণালীকে ঘিরে যতই নতুন নতুন নাম শোনা যাক না কেন, কিছু খাবার থাকে, যেগুলো শুধু স্বাদেই নয়, মনে গেঁথে থাকে ঐতিহ্যের সুগন্ধি হয়ে। তেমনই এক খাবার ‘সিতা রাসা মালয়েশিয়া’ (Sitarasa Malaysia)— যার নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এর পরিচয়। ‘সিতা রাসা’ অর্থাৎ ‘স্বাদের সুর’। এই খাবারটি কেবল একটি ডিশ নয়, বরং একটি সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা।
ঐতিহ্যের গন্ধে গড়া
‘সিতা রাসা’ তৈরি হয় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী উপাদানের সমন্বয়ে। এখানে রয়েছে মালয়, চিনা, ভারতীয় এবং সাবা-সারাওয়াকের প্রভাব। এক থালায় যেন পুরো মালয়েশিয়া! স্থানীয় ভাবে এটি পরিবেশিত হয় উৎসব, রাজকীয় ভোজ এবং আন্তর্জাতিক ফুড ফেস্টিভ্যালে।
এই খাবারে প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়—
নাসি লেমাক (নারকেল দুধে রান্না করা ভাত),
সাম্বাল (ঝাল মশলাদার পেস্ট),
সাতে (গ্রিল করা মাংসের স্কিউয়ার),
রেন্দাং (মাংসের ঝোলযুক্ত শুকনো রান্না),
আর সঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরণের আচার ও সালাদ।
🍛 শুধু খাবার নয়, এক অভিজ্ঞতা
‘সিতা রাসা’ সাধারণত একটি পাত বা ট্রে-তে পরিবেশন করা হয়, যাতে প্রতিটি উপাদান থাকে সাজানো অবস্থায়, এবং প্রত্যেকটি স্বাদে থাকে আলাদা টুইস্ট। নরম-মিষ্টি ভাতের সঙ্গে ঘন রেন্দাং-এর ঝাঁঝালো স্বাদ, বা সাতের ধোঁয়াটে সুবাস মিশে এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
এই অভিজ্ঞতা পর্যটকদের কাছে এতটাই জনপ্রিয় যে মালয়েশিয়ান ট্যুরিজম বোর্ড একে দেশের “culinary ambassador” হিসেবে প্রচার করে। বিদেশি রাঁধুনিরাও এর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে গিয়ে রেস্টুরেন্ট খুলছেন।
🌏 গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে ‘সিতা রাসা’
বর্তমানে ‘সিতা রাসা’ শুধুমাত্র মালয়েশিয়ার ভেতরে নয়, আন্তর্জাতিক ফুড ফেস্টিভ্যালে অংশ নিচ্ছে নিয়মিত। দুবাই, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, এমনকি দিল্লির ফুড এক্সপোতেও এটি মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে পরিবেশিত হয়। মালয়েশিয়ান দূতাবাসের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ‘স্টার ডিশ’ এটি।
📣 শেষ কথা
একটি দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি যেমন রয়ে যায় তার শিল্প ও সাহিত্যে, তেমনই স্বাদের মধ্যেও জেগে থাকে এক সজীব ঐতিহ্য। ‘সিতা রাসা মালয়েশিয়া’ সেই স্বাদের এক অনবদ্য নিদর্শন। শুধু পেট ভরায় না, মনও ভরিয়ে তোলে এক চিরস্থায়ী অভিজ্ঞতায়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মালয়েশিয়ার হাই কমিশন ও ট্যুরিজম মালয়েশিয়ার সহযোগিতায় এই দশ দিনব্যাপী খাদ্যোৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান। উৎসবে অতিথিদের জন্য মালয়েশিয়া থেকে আগত খ্যাতনামা শেফ শাহ রিজাল উপস্থাপন করছেন নানা সুস্বাদু মালয়েশিয়ান খাবার, যার মধ্যে রয়েছে নাসি লেমাক, সাতায়, লাকসা, রেনডাং প্রভৃতি।
উৎসবে অতিথিদের জন্য রেনেসাঁ হোটেল নির্দিষ্ট ব্যাংক পার্টনারদের কার্ডে দিচ্ছে ‘বাই ওয়ান গেট টু’ ডিনার অফার।
রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেল, ম্যারিয়ট বনভয়-এর একটি অন্যতম প্রিমিয়াম লাইফস্টাইল হোটেল হিসেবে, সব সময়ই আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলী উদযাপনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে, যেখানে ভোজন ও আতিথেয়তার মাধ্যমে প্রতিটি আয়োজন হয়ে ওঠে এক বিশেষ অভিজ্ঞতা।
রিজার্ভেশন ও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন +৮৮০ ১৭০৪ ১১২৬৪৮ নম্বরে।
ছবি: রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেল-এর সৌজন্যে