বিনোদন ডেস্ক্:
বলিউডে ‘হেট স্টোরি’-খ্যাত অভিনেত্রী সুরভীন চাওলা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খুলে বললেন তাঁর অভিজ্ঞতার পাতা যেখানে ওজনের নামে লুকোনো হয়েছিল যৌন ইঙ্গিত, আর শরীর নিয়ে করা হয়েছিল আপত্তিকর মন্তব্য। মুখে বলা হয়েছিল ‘ফিটনেস’-এর কথা, কিন্তু ভেতরে ছিল ‘কাস্টিং কাউচ’-এর কৌশল।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সফলতা আসেনি, বরং এসেছিল অপমান। সুরভীনের কথায়, ‘‘আমাকে বলা হয়েছিল, তুমি বড্ড রোগা। তোমার তো বুক নেই। ওজন বাড়াতে হবে। না হলে কিছুই তো নড়বে না!’’ এই কথায় পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শরীরী আবেদন না থাকলে নাকি দক্ষিণে সিনেমার দরজা খোলা হয় না।
তিনি আরও বলেন, ‘‘বলিউডে গেলে বলা হয় ওজন কমাও, দক্ষিণে গেলে বলা হয় ওজন বাড়াও। কিন্তু সত্যি বলতে, মূলত বলা হয় তোমার শরীর যৌন আবেদনময় না হলে, তোমার কোনও দাম নেই।’’ সুরভীন সেই সময়ে একপ্রকার মানসিক যন্ত্রণার মধ্যেই পড়েছিলেন। শরীর নিয়ে এভাবে কেউ বারবার প্রশ্ন তুললে, একজন শিল্পীর আত্মবিশ্বাসও ভেঙে পড়েসেই কথাই জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
তবে শুধু শরীর নয়, সহবতের অভাবও ছিল বলেই মন্তব্য সুরভীনের। বললেন, ‘‘আমাদের সময় এই কথা গুলো সরাসরি মুখের উপর বলা হত। এখন কথার মোড়ক পাল্টেছে। তবে মনোভাবটা বদলায়নি। নারী শরীরকে এখনও ব্যবহারযোগ্য পণ্য বলেই দেখা হয়।’’
এই কারণেই হয়তো দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে আর খুব বেশি চেষ্টা করেননি সুরভীন। নিজের শর্তে বলিউডে কাজের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। আজ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘যে জগতে আত্মসম্মান নেই, সেখানে থাকার মানে নেই।’’
নারী অভিনেত্রীদের শরীর নিয়ে এমন হেনস্থা নতুন নয়। কিন্তু যখন একজন শিল্পী সাহস করে মুখ খোলেন, তখনই এই বিষাক্ত বাস্তব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে আসে। সুরভীন চাওলার অভিজ্ঞতা হয়তো আরও অনেক তরুণীর চোখ খুলে দিতে পারে—এই শিল্প-জগতে শরীর নয়, সত্যিই কি শিল্পই মুখ্য?










