Home পণ্যবাজার বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত, সোনার বাজারে চাপ

বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত, সোনার বাজারে চাপ

সিঙ্গাপুর সময় সকাল আটটা পনের মিনিটে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে দাঁড়ায় তিন হাজার দুইশ বিশ দশমিক সাত পাঁচ মার্কিন ডলার। সোমবার একদিনে এটি শূন্য দশমিক আট শতাংশ বেড়েছিল।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ববাজারে সোনার দাম মঙ্গলবার কিছুটা কমেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান কমিয়ে দেওয়ার পর স্বর্ণের প্রতি যে চাহিদা বেড়েছিল, তা দ্রুতই হ্রাস পায়। এর পাশাপাশি বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দিকে ঝোঁক বেড়েছে।

সিঙ্গাপুর সময় সকাল আটটা পনের মিনিটে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে দাঁড়ায় তিন হাজার দুইশ বিশ দশমিক সাত পাঁচ মার্কিন ডলার। সোমবার একদিনে এটি শূন্য দশমিক আট শতাংশ বেড়েছিল। তবে মঙ্গলবার বাজারে একটি ইতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছিল, বিশেষ করে এশীয় শেয়ারবাজারগুলো ওয়াল স্ট্রিটের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অনুসরণ করছিল।

সাধারণত শেয়ারবাজার শক্তিশালী হলে সোনার প্রতি চাহিদা কমে যায়। কারণ সোনা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় আশ্রয় হিসেবে বিবেচিত হয়। চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী বাণিজ্যনীতির কারণে বিশ্ববাজারে উদ্বেগ বেড়ে গেলে সোনার দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। তবে মে মাসে ট্রাম্প অনেক শুল্ক হুমকি প্রত্যাহার বা স্থগিত করায়, সেই ঊর্ধ্বমুখী গতি খানিকটা থেমে যায়।

তবে সামগ্রিকভাবে ২০২৫ সালে এখনো পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় এক পঞ্চমাংশ বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার পটভূমিতে সোনার বাজারে বড় ধরনের ধসের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞরা করছেন না।

অন্যদিকে, মার্কিন ডলারের মানেও সামান্য উত্থান লক্ষ্য করা গেছে। ব্লুমবার্গ ডলার স্পট সূচক মঙ্গলবার শূন্য দশমিক এক শতাংশ বেড়েছে, যদিও আগের দিন তা শূন্য দশমিক ছয় শতাংশ কমেছিল। সাধারণত ডলারের মান বাড়লে সোনার দাম কিছুটা চাপে পড়ে, কারণ ডলারে মূল্যায়িত সম্পদ হিসেবে সোনার চাহিদা তখন তুলনামূলকভাবে কমে যায়।

সামগ্রিক মূল্যবান ধাতুর বাজারে রুপার দাম স্থির থাকলেও প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এ থেকে বোঝা যায় যে, মূল্যবান ধাতুর বাজারে এখনো আস্থা বজায় রয়েছে, বিশেষ করে শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত ধাতুগুলোর প্রতি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সিদ্ধান্ত, ইউরোপ ও চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার দিকেই বাজার নজর রাখবে। এই প্রেক্ষাপটে সোনার দাম অস্থির থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।