এভিয়েশন ডেস্ক:
আবারও ভারতে যাত্রীবাহী বিমানে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে হজযাত্রী নিয়ে আসা সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট অবতরণের সময় এর চাকার অংশে আগুন ও ধোঁয়ার ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে লখনউয়ের চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি নামার পরপরই এ আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিমানটিতে প্রায় ২৫০ জন হজযাত্রী ছিলেন। সৌভাগ্যবশত, বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি এবং সব যাত্রী ও কেবিন ক্রু নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সৌদি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি ৩১১২ জেদ্দা থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে লখনউতে অবতরণ করছিল। অবতরণের সময় হঠাৎ বিমানের পেছনের বাম দিকের চাকার কাছ থেকে ধোঁয়া ও আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। অবস্থা বুঝে পাইলট জরুরি ব্রেক কষে বিমানটি থামান এবং সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে অবহিত করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপক দল ও উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। চাকা অত্যধিক গরম হয়ে যাওয়ার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারের হাইড্রলিক সিস্টেমে ত্রুটির কারণে তরল উপাদান লিক হয়ে অতিরিক্ত ঘর্ষণ তৈরি হয়েছিল।
<div style=”text-align: center; margin: 20px 0;”> <iframe width=”560″ height=”315″ src=”https://www.youtube.com/embed/TX2R4sIzHfw” title=”SV3112 Saudi Airlines Fire Incident at Lucknow Airport” frameborder=”0″ allow=”accelerometer; autoplay; clipboard-write; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture; web-share” allowfullscreen> </iframe> <p style=”font-size: 14px; color: #555;”>ভিডিও: সৌদি হজ ফ্লাইট অবতরণের সময় ল্যান্ডিং গিয়ারে ধোঁয়া ও আগুন</p> </div>
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারো কোনো শারীরিক ক্ষতি হয়নি। বিমানবন্দরের চিকিৎসা দলের পক্ষ থেকে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, বিমানটিকে রানওয়ে থেকে সরিয়ে বিশেষ এলাকায় রাখা হয়েছে এবং তদন্তের জন্য ফ্লাইটটিকে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
সৌদি এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং তারা এ ধরনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছে। বিমানটির যান্ত্রিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে কারিগরি দল কাজ করছে।
ভারতের বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনায় যৌথ তদন্ত শুরু করেছে। তারা বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডার ও অন্যান্য উপাদান বিশ্লেষণ করছে।
বিগত কয়েক বছরে ভারতে বেশ কয়েকবার বিমানের চাকা, ইঞ্জিন বা ল্যান্ডিং গিয়ারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাইড্রলিক ত্রুটি ও মেরামতের অভাব অনেক সময় এমন ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে।
এই ঘটনায় আরও একবার প্রমাণ হলো, দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।