বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, কুমিল্লা: কুমিল্লার মুরাদনগরে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও গণিত শিক্ষকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাকি বিল্লাহর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ ওঠে। এর জেরে ওই ছাত্রী’র ভাই ইমনসহ পাঁচজন বহিরাগত বিদ্যালয়ে আসে। তারা বাকি বিল্লাহকে না পেয়ে নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী শাহজালাল ও আরমানকে টেনে-হিঁচড়ে বিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে।
এ সময় বাধা দিতে গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের ওপরও হামলা চালানো হয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে বহিরাগত কিশোরদের ওপর পাল্টা হামলা চালায় এবং তাদের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে দুই শিক্ষকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বহিরাগত পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে পরে তাদের স্বজনদের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, “আমরা বহিরাগতদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেটি না করে শিক্ষার্থীদের টেনে নিয়ে মারধর শুরু করে। আমি প্রতিবাদ করাতে আমাকেও ধাক্কা দেওয়া হয়।”
পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক দাতা সদস্য শাহজাহান খান বাবুল বলেন, “যদি কোনো শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে থাকে, সেটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত ছিল। বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের মারধর করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।”
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, “আটককৃত পাঁচজনকে থানায় আনা হয়েছিল। পরে স্বজনদের হস্তক্ষেপে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”
👉 আপনার এলাকার সংবাদ জানাতে বিজনেসটুডে২৪ ফেসবুক পেজে ইনবক্স করুন।