Home বিনোদন অভিনেত্রী হুমায়রার মৃত্যুতে রহস্য, পরিবারের অনীহার পর ভাই এগিয়ে

অভিনেত্রী হুমায়রার মৃত্যুতে রহস্য, পরিবারের অনীহার পর ভাই এগিয়ে

হুমায়রা আসগর
বিনোদন ডেস্ক:  করাচির ডিফেন্স হাউজিং অথরিটি (ডিএইচএ) ফেজ-৬–এর একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া অভিনেত্রী ও মডেল হুমায়রা আসগর আলীর মরদেহ গ্রহণ করতে তাঁর ভাই নাভিদ আসগর লাহোর থেকে করাচিতে এসে পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) তিনি দক্ষিণ বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে মরদেহ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

দক্ষিণ বিভাগের ডিআইজি সৈয়দ আসাদ রেজা গণমাধ্যমকে জানান, নিহত হুমায়রার ভাই নাভিদ আসগর দক্ষিণ এসএসপি মাহজুর আলী ও গিজরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ সাঞ্জরানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জানিয়েছেন, তিনি তার বোনের মরদেহ লাহোর নিয়ে গিয়ে সেখানেই দাফন করতে চান। পুলিশ মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে।

এর আগে, হুমায়রার পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহ গ্রহণে অনীহা প্রকাশিত হলে বিষয়টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অভিনেত্রীর পরিবার করাচির বাইরে অবস্থান করায় পুলিশ প্রথমে তাঁর পিতার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি মরদেহ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান বলে জানান ডিআইজি রেজা।

এ পরিস্থিতিতে সিন্ধু প্রদেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় দাফনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। মন্ত্রী সৈয়দ জুলফিকার আলী শাহ করাচির অ্যাডিশনাল আইজিপির সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, যদি আইনগত উত্তরাধিকারীরা মরদেহ গ্রহণ না করেন, তবে সংস্কৃতি বিভাগই হুমায়রার দাফনের দায়িত্ব নেবে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠিও দক্ষিণ বিভাগের ডিআইজিকে পাঠানো হয়েছে এবং সংস্কৃতি বিভাগের মহাপরিচালক মুনাওয়ার মাহেশারকে বিষয়টির ফোকাল পারসন হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে অবদান রাখা এক অভিনেত্রীর মরদেহ তাঁর পরিবার গ্রহণ করছে না। এই অবস্থায় সংস্কৃতি বিভাগ মর্যাদাপূর্ণভাবে তাঁর দাফনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রস্তুত।”

তবে শেষ পর্যন্ত হুমায়রার ভাই করাচি এসে মরদেহ গ্রহণ করায় সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন পড়েনি।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার করাচির ইত্তেহাদ কমার্শিয়াল এলাকায় অবস্থিত ওই অ্যাপার্টমেন্টে আদালতের নির্দেশে ভাড়া বকেয়া থাকায় পুলিশ তালা ভেঙে প্রবেশ করে হুমায়রার পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ এখনো কেমিক্যাল ও হিস্টোপ্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। যদি কোনো অপরাধ সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয়, তবে মামলা রুজু করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এদিকে, অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই মরদেহ দাফনের দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অভিনেত্রী ইয়াশমা গিল ও সোনিয়া হুসেনও ছিলেন।