Home Second Lead সমন্বয়ক পরিচয়ে গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়

সমন্বয়ক পরিচয়ে গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়

পুলিশি অভিযানে ৪ দুর্বৃত্ত গ্রেপ্তার, টাকা উদ্ধার

চট্টগ্রাম: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে প্যাসিফিক জিন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আবেদিন আল মামুনকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণ হিসেবে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং বাকি ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক লিখে নিয়ে ভিকটিমকে নগরের অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটাল এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিমকে তার গাড়ি চালকসহ উদ্ধার করে অভিযান চালায় আকবর শাহ থানা পুলিশ। অভিযানে সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম বিভাগের উপ কমিশনার হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে নগরীর আকবর শাহ থানার কাট্টলী ও সিডিএ আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন-নাজমুল আবেদিন (২২), নইমুল আমিন ইমন (২২), আরাফাত হোসেন ফহিম (২২) ও রিসতি বিন ইউসুফ (২৩)।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর আকবর শাহ থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিডিএ আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে আবদুল আল মামুন ও তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার জুয়েলকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। আবদুল আল মামুন সিইপিজেডের কমার্শিয়াল এক্সপোর্ট প্যাসিফিক জিন্স নামে একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন।

অপহরণকারীরা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয়ে মামুনের স্ত্রীকে কল দিয়ে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ব্যাংকের চেকে ১৫ লাখ টাকা আদায় করেন। এরপর তারা মামুন ও তার ড্রাইভারকে খুলশীর অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে চলে যান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, অপহরণের খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক অভিযানে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য সহযোগীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আসামি নইমুল আমিন ইমনের বাসা থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘রাত দুইটার সময় ভিকটিমদের উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী অভিযানে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে আসামি ইমনের বাসা থেকে মুক্তিপণের জন্য আদায় করা টাকা উদ্ধার করা হয়।’