ঢাকা: ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে যারা বিদেশে চাকরি করতে যায় তাদের এবং যারা এই সার্টিফিকেট দেয় তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন।
বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইনের সংশোধিত খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে রিক্রুটিং এজেন্ট যারা আছেন তারা এখন থেকে সাব-এজেন্ট রাখতে পারবেন। এটা এখন থাকলেও আইনের মধ্যে নেই। এখন বিষয়টিকে আইনের আওতায় আনা হলো। পাশাপাশি রিক্রুটিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত এবং সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এই বৈঠক হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
সচিব বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে যারা বিদেশে যাচ্ছেন অনেকেই ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই ভুয়া চিকিৎসক ও ইঞ্জিনিয়ার-এ ধরনের সার্টিফিকেট নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, কীভাবে তারা এ ভুয়া সার্টিফিকেট নেয়।
এ ভুয়া সার্টিফিকেটসহ তারা যান, তারা তাদের এ কাজে সহযোগিতা করেন। যারা এ কাজটা করেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাদের সহযোগিতা করবে।
কত সংখ্যক এমন ভুয়া সনদ নিয়েছেন- জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, সংখ্যাটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। অভিযোগ করা হয় যে এমন পাওয়া যাচ্ছে। দেখা গেলো একটা ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে বিদেশে গেছে এবং ওই দেশে গিয়ে সে ধরা পড়েছে। তখন একটা বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়। ওখানে তারা একটা অস্বস্তির মধ্যে পড়ে যায়। এখন এ বিষয়টা শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করার জন্য বলা হয়েছে।