- সরবরাহ পর্যাপ্ত, কোন ঘাটতি নেই
- ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি যৌক্তিক
বিজনেসটেুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: অত্যাবশ্যক পণ্য আলুর দামে রাশ টানতে কেনাবেচা ও মজুতদারির ওপর খামারবাড়ির কঠোর মনিটরিং এবং নজরদারি কার্যকর হচ্ছে। খুচরা দাম প্রতি কেজি ৩০ টাকায় নামিয়ে আনতে এই উদ্যোগ।
আলু অগ্নিমূল্য। প্রতি বছর ২০ টাকার মধ্যে থাকা আলু ৪২ থেকে ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এরজেরে সাধারণ মানুষের অবস্থা একেবারে নাজেহাল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলেছে ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া বাঞ্চনীয়।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আলুর সরবরাহ পর্যাপ্ত। কোন ঘাটতি নেই। গত মওসুমের আলু সামান্য পরিমাণ রপ্তানি হয়েছিল। উৎপাদিত হয়েছিল ১ কোটি ৯ লাখ মেট্রিক টন। আর চাহিদা ৭৭ লাখ ৯ হাজার টন। সেই হিসেবে ৩১ লাখ ৯১ হাজার টন উদ্বৃত্ত।
কৃষকরা ক্ষেত থেকে আলু তোলার পর বিক্রি করে দেন। মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফড়েরা কিনে নেন। সরাসরি কোল্ড স্টোরেজে মজুত করেন।
কৃষকের উৎপাদন খরচ ৮ টাকা ৩২ পয়সা প্রতিকেজিতে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানায়, কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণের সময় প্রতি কেজির দাম ছিল ১৪ টাকা। সেখানে প্রতিকেজিতে ভাড়া ৩.৬৬ টাকা। এরপর বাছাই খরচ ৪৬ পয়সা প্রতি কেজিতে। প্রতি কেজিতে ওজন কমে যাওয়ায় ক্ষতি ৮৮ পয়সা। আর মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবত দুই টাকা ব্যয় হয়্। অর্থাৎ এক কেজি কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২১ টাকা খরচ পড়ে।
সংরক্ষিত আলুর কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রয় মূল্যের ওপর সাধারণত ২ থকে ৪ শতাংশ লভ্যাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ সংযোজন করে ভোক্তার কাছে বিক্রি যুক্তিযুক্ত। এ ক্ষেত্রে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতিকেজি আলু ২৩ টাকা মূল্যে বিক্রি করলে সংরক্ষণকারির ২ টাকা মুনাফা হয়।
অন্যদিকে, আড়ৎদার, খাজনা ও লেবার খরচ বাবৎ ৭৬ পয়সা খরচ হয়। সে হিসেবে পাইকারি মূল্য আড়ৎ পর্যায়ে ২৩.৭৬ টাকার সাথে মুনাফা যোগ করে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা।
অধিদপ্তরের মতে বর্তমানে যে দরে বিক্রি হচ্ছে তা কোনোক্রমে গ্রহণযোগ্য নয়, একেবারে অযৌক্তিক। সর্বোচ্চ দাম ৩০ টাকা যৌক্তিক।
জানা যায়, কোল্ড স্টোরেজ, আড়ৎদার, পাইকার এবং খুচরা দোকানিরা যাতে অতিরিক্ত দরে আলু বিক্রি না করেন তা নিশ্চিত করতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে তাদের জেলা অফিসগুলোতে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।