বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) আপাতত বিদেশি কোম্পানির হাতে হস্তান্তর করা হবে না। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে আশ্বস্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি হয়। আদালত আগামী ১৯ নভেম্বর রুলের চূড়ান্ত শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।
রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম, রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যেন নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে না দেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে আশ্বস্ত করেছেন, রুলের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনসিটি বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে না।”
এর আগে গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর বেঞ্চ।
একই সঙ্গে রুলে বলা হয়, যেকোনো অপারেটরকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি অনুসারে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও ব্যাখ্যা করতে হবে।
বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন সংগঠনটির পক্ষে রিটটি দায়ের করেন। এতে নৌসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় গত ২৬ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন, যার শিরোনাম ছিল—‘নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে, তবু কেন বিদেশির হাতে যাচ্ছে’। ওই প্রতিবেদনসহ আরও কয়েকটি গণমাধ্যমের তথ্য উপস্থাপন করে আবেদনকারী পক্ষ দাবি করেন, এনসিটি পরিচালনায় স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান না করে বিদেশি কোম্পানিকে অগ্রাধিকার দেওয়া ন্যায়সঙ্গত নয়।
