Home Second Lead আগামীর চট্টগ্রাম: এপিক টাওয়ার ও বদলে যাওয়া স্কাইলাইন

আগামীর চট্টগ্রাম: এপিক টাওয়ার ও বদলে যাওয়া স্কাইলাইন

এপিক টাওয়ার ( নির্মিয়মান)
কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকাটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত সংযোগস্থল। যেখান থেকে উত্তর চট্টগ্রাম আর মূল শহরের যাতায়াত নিয়ন্ত্রিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়েই এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে ২৭ তলার এক বিশাল ইমারত—‘এপিট টাওয়ার’।
১১০ মিটার উচ্চতার এই নির্মাণাধীন প্রকল্পটি কেবল একটি ভবন নয়, বরং এটি চট্টগ্রামের ভবিষ্যতের আকাশরেখা বা স্কাইলাইন বদলে দেওয়ার এক বলিষ্ঠ ঘোষণা।

এতদিন মুরাদপুর এলাকাটি কেবল ফ্লাইওভার আর যানবাহনের ভিড়ের জন্য পরিচিত ছিল। কিন্তু এপিক টাওয়ারের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর এই এলাকার দৃশ্যপট দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ২৭ তলার এই সুউচ্চ ভবনটি মুরাদপুরকে কেবল একটি ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে আধুনিক বাণিজ্যিক ও আবাসিক হাবে রূপান্তর করছে। স্থপতিদের মতে, এই প্রকল্প শেষ হলে এটি হবে উত্তর চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত সবচেয়ে উঁচু ও আধুনিক ল্যান্ডমার্ক।

এপিক টাওয়ারের নকশায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আগামীর প্রযুক্তির ওপর। এর বিশেষ দিকগুলো হলো:

  • স্মার্ট স্ট্রাকচার: এটি আধুনিক ভূমিকম্প সহনশীল প্রযুক্তিতে নির্মিত হচ্ছে।
  • ভার্টিক্যাল লিভিং: শহরের সীমিত জায়গাকে কীভাবে ওপরের দিকে ব্যবহার করে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ছোট শহর গড়ে তোলা যায়, এপিক টাওয়ার তারই বহিঃপ্রকাশ।
  • সবুজায়নের পরিকল্পনা: ভবনের বিভিন্ন স্তরে এবং ছাদে বাগান বা গ্রিন স্পেস রাখার পরিকল্পনা রয়েছে, যা যান্ত্রিক জীবনে প্রশান্তি জোগাবে।

মুরাদপুর এবং সংলগ্ন পাঁচলাইশ ও অক্সিজেন এলাকার মানুষের জন্য এটি হবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার প্রাণকেন্দ্র। এখানে একই সাথে থাকবে:

প্রিমিয়াম শপিং মল: যেখানে নামী-দামী সব ব্র্যান্ডের সমাগম ঘটবে।

কর্পোরেট অফিস স্পেস: ব্যবসা প্রসারের জন্য আধুনিক অফিসের সুবিধা।

বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট: আধুনিক নাগরিক জীবনের সব আয়োজন নিয়ে গড়ে তোলা বাসস্থান।

এপিক টাওয়ার যখন পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে, তখন এর চূড়া থেকে একদিকে দেখা যাবে পাহাড়তলীর সবুজ পাহাড় আর অন্যদিকে বহদ্দারহাট ছাড়িয়ে বহুদূর বিস্তৃত নগরের রূপ।

এটি প্রমাণ করবে যে, চট্টগ্রাম এখন আর কেবল নিচু বা মাঝারি মানের ভবনের শহর নয়; এটি এখন উচ্চতায় বিশ্বের উন্নত শহরগুলোকে টেক্কা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নির্মাণাধীন এই এপিক টাওয়ারটি চট্টগ্রামের মানুষের কাছে এখন কৌতূহল আর স্বপ্নের নাম। এটি কেবল ইট-পাথরের কাঠামো নয়, বরং চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আর আধুনিকতার এক ভবিষ্যৎ প্রতিচ্ছবি। মুরাদপুরের ব্যস্ত সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এই টাওয়ারটি যেন আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে—আগামীর চট্টগ্রাম হবে আরও উঁচু, আরও আধুনিক এবং আরও সুন্দর।