বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, যশোর: বিপুল সঙ্গীত ও বাঁশরীপ্রেমী আর দর্শকশ্রোতার উপস্থিতিতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শেষ হয় শাস্ত্রীয় ধারার খ্যাতিমান বংশীবাদক ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলামের একক বংশীবাদন সন্ধ্যা। নাগরিক জীবনের কর্মব্যস্ততা ও কোলাহল থেকে স্বল্প সময়ের জন্য বাঁশির সুরে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সবাই হারিয়ে যায় বংশীবাদন সন্ধ্যার শৈল্পিক আয়োজনে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী এ শিল্পী শুক্রবার বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সুন্দরবন অঞ্চল যশোরের সমন্বয়ক হাসান হাফিজুর রহমানের আমন্ত্রণে যশোরে আসেন। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এককভাবে বাঁশি বাজান। তার বাঁশির সুর দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। কিংবদন্তি বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম তাঁর বাঁশির সুর মূর্ছনার ইন্দ্রজাল বুনে বিমোহিত করেন শ্রোতাদের।
ওস্তাদের সাথে তবলায় সঙ্গত করেন পলাশ দেব এবং তানপুরায় ছিলেন ফারুক হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হারুন অর রশিদ, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, জাহিদ আহমেদ লিটন, দীপঙ্কর দাস রতন, যোগেশ দত্ত এবং বাসুদেব বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ওস্তাদ আজিজুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান গ্রাম থিয়েটার সুন্দরবন অঞ্চল যশোরের সমন্বয়ক হাসান হাফিজুর রহমান। এরপর তাকে উত্তরীয় পরানো হয় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। একইসাথে তার বাঁশি বাজানোর একটি ছবি বাঁধাই করে উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ওস্তাদের সহধর্মিনী ডাক্তার আঞ্জুমানারা ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় ও উপহার প্রদান করা হয়। এই অনুষ্ঠানে রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত যশোরের নারী আন্দোলনের নেত্রী ও জয়তী সোসাইটির পরিচালক অর্চনা বিশ্বাসকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। বাঁশির রাগ-রাগিনীর ঝংকারে মুখরিত এই অনুষ্ঠানটি উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকদের মানসপটে অম্লান থাকবে বহুদিন ধরে।
অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের জন্ম ১৯৪৫ সালে পিতার কর্মস্থল রাজবাড়ি জেলায়। কিন্তু তার পৈত্রিক নিবাস ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার ভাতশালা গ্রামে। পরবর্তীতে তার কৈশর কেটেছে চট্টগ্রামে। বর্তমানে তার স্থায়ী নিবাস চট্টগ্রামেই। ছোটবেলা থেকেই তিনি বাঁশির প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন ও আনমনেই বাঁশি বাজাতেন।
