Home আন্তর্জাতিক করোনার হানা উত্তর কোরিয়ায়

করোনার হানা উত্তর কোরিয়ায়

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

এবার উত্তর কোরিয়াতেও হানা দিল নভেল করোনাভাইরাস। জানা গিয়েছে, সে দেশে প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই সীমান্ত লাগোয়া একটি শহরে লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে কিম জং উন প্রশাসন।

সূত্রের খবর, শনিবার সীমান্ত লাগোয়া শহর কায়েসংয়ে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তারপরেই এই শহরে লকডাউন জারি হয়েছে। শনিবার জরুরি ভিত্তিতে পলিটব্যুরো মিটিং ডেকেছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। সেখানে এই ভাইরাস মোকাবিলায় সর্বাধিক জরুরি পরিষেবা চালু করা ও সতর্কতা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কোনও ধরনের মহামারীর বিরুদ্ধে লড়ার মতো মেডিক্যাল পরিষেবা নেই সে দেশে। তাই বেশি চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন। বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ ছড়ানোর পরে সেজন্যই সে দেশে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে যে ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর, তিনি তিন বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন। কয়েক দিন আগেই বেআইনিভাবে সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়াতে ফিরেছেন তিনি। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কেউ উত্তর কোরিয়ায় ঢুকেছে কিনা সে বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া কিছু জানায়নি। এই দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত সীমান্ত। এই সীমান্ত পেরিয়ে যাতায়াত করা প্রায় অসম্ভব।

বিশ্বে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরেই নিজেদের চারদিকের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। কোনও দেশ থেকে সে দেশে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। উত্তর কোরিয়া থেকে কাউকে বেরতে দেওয়া হয়নি। আর তাই এই দেশে এখনও পর্যন্ত একজন আক্রান্তও নেই বলে দাবি করেছিল কিমের দেশ।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী শহর কায়েসেংয়ে কড়া লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরের সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে। পুরো বিষয়ে নজর রাখছে পুলিশ। এই ভাইরাস যাতে কোনও ভাবেই না ছড়াতে পারে, শুরুতেই সেদিকে নজর রাখছে কিম প্রশাসন।

গত জানুয়ারি মাস থেকেই নিজেদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পড়শি দেশ চিনে সংক্রমণ ছড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয় দেশের মধ্যেও কড়াকড়ি করা হয়েছিল। আর তাই উত্তর কোরিয়ায় সংক্রমণ ছড়াতে পারেনি বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এই মুহূর্তে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এই মাসেই কিম সতর্ক করেছেন, করোনার বিরুদ্ধে যে কড়াকড়ি করা হয়েছে তাতে যেন কোনও ঢিলেমি না দেওয়া হয়। অনির্দিষ্টকালের জন্য সীমান্ত বন্ধ থাকবে বলেই জানান তিনি। যদিও তারপরেও সেদেশে সংক্রমণ ঢুকে পড়েছে বলেই জানিয়েছে প্রশাসন। আর তা হতেই নেওয়া হচ্ছে আরও কড়া পদক্ষেপ