Home রকমারি সংবাদ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য

পাতিহাঁসের কালো ডিম!

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ভোলা: চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের দাসকান্দি গ্রামে পাতিহাঁস পেড়েছে কালো ডিম। অবিশ্বাস্য এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, দাসকান্দি গ্রামের আবদুল মান্নান রাঢ়ী বাড়ির সৌদি প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ১১টি পাতিহাঁস পালেন। এর মধ্যে সবার বড় ৯ মাস বয়সি একটি হাঁস বুধবার সকালে কালো ডিম পাড়ে। ডিমের রং গাঢ় কালো দেখে তাসলিমা মনে করেন অন্যকোনো কিছুর ডিম হতে পারে। তিনি ভয় পেয়ে বাড়ির অন্যদের ডিমটি দেখালে এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হয়। পাতিহাঁসের কালো ডিম দেখতে ঐ বাড়িতে লোকজনের সমাগম ঘটে। সন্ধ্যার পর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে খবরটি পৌঁছায়।

ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, আমার জানামতে দেশীয় কোনো পাতিহাঁস কালো ডিম পাড়ার ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম। তিনি জানান, আমাদের দেশে জিং ডিং জাতের একপ্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়। পাতিহাঁস কালো ডিম পেড়েছে এমনটি কখনো শুনিনি। আমার মতে এটি একটি অস্বাভাবিক ডিম। ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ কালো মাসি জাতের মুরগি রয়েছে যেগুলো কালো ডিম পাড়ে এবং এর মাংসও কালো। আমার ধারণা, পাতিহাঁসটি কালো ডিম পেড়েছে ঐ হাঁসের জরায়ু বা শারীরিক অন্য কোনো সমস্যার কারণে।

চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম বলেন, আরো কয়েক দিন পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে যে কি কারণে হাঁসটি কালো ডিম পেড়েছে। যদি দেখা যায় এই হাঁসটি ধারাবাহিকভাবে কালো ডিম পাড়ছে তাহলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের গবেষণাগারে হাঁস ও ডিম পাঠানো হবে। তখনই সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পাখি গবেষক আ ন ম আমিনুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, প্রাণিদেহের রক্তকণিকা ভেঙে বিলিভারডিন নামে একটি উপাদান বের হয়। এটা কম-বেশি হওয়ার কারণে ডিমের খোলসের রং নীলচে বা সবুজাভ হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে জরায়ুতে ডিমের খোলসটি পরিণত হওয়ার সময়ে তাতে গাঢ় সবুজ রঙের পিত্তরস বেশি থাকতে পারে। ওই দুটি উপাদান জরায়ুতে বেশি থাকলে তা থেকে ডিমটির রং কালো হতে পারে। এ ধরনের কালো ডিম হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে খুবই ব্যতিক্রম। সম্ভবত এটি প্রথমবার ঘটল।