বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে আশার আলো দেখাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে শুরু হওয়া নতুন একটি কূপের খনন কাজ। সোমবার দুপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘সি’ লোকেশনে ২৮ নম্বর কূপের খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার পরিচালক প্রকৌশলী মো. শোয়েব। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)।
উদ্বোধন শেষে পেট্রোবাংলার পরিচালক মো. শোয়েব জানান, এই কূপ খনন শেষে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিজিএফসিএল পরিচালিত গ্যাস ফিল্ডগুলোর উৎপাদন ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন কূপ খনন এবং ওয়ার্কওভার প্রকল্পগুলো সফলভাবে সম্পন্ন হলে দেশের জ্বালানি সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। এছাড়া তিতাসের ৩১ এবং বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ১১ নম্বর গভীর কূপ খনন প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে, যা দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১২ সালে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘সি’ লোকেশনে গ্যাসে অনুসন্ধানে জরিপ চালানো হয়। সেই জরিপের প্রতিবেদন রিভিউ করে ২০২০ সালে তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন তিনটি কূপ খননের পরিকল্পনা হাতে নেয় বিজিএফসিএল। এই প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের কামতা গ্যাস ফিল্ডেও একটি কূপ খনন করা হবে। তিতাস ও কামতা ফিল্ডে মোট চারটি কূপ খননে প্রায় এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। এই কূপগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিতাসের ২৮ নম্বর কূপটির খনন কাজ করছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান, যা সম্পন্ন হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। খনন শেষে এই কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, কোম্পানি সচিব মোজাহার আলী, তিতাস ও মেঘনা ফিল্ডে চারটি কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম জসিম উদ্দিন সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই উদ্যোগ দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং শিল্প ও গৃহস্থালির গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।










