বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, পঞ্চগড়: দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার সকালে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। হাড় কাঁপানো এই শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
তাপমাত্রার চিত্র:
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগের দিন সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই তাপমাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করে এবং তীব্র শীত অনুভূত হয়।
অন্যদিকে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের উষ্ণতম অঞ্চলের চিত্র তুলে ধরে।
শৈত্যপ্রবাহের কারণ:
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই পরিস্থিতিই তেঁতুলিয়াসহ উত্তরাঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার মূল কারণ। হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা প্রতি বছরই বেশি থাকে।
জনজীবনে প্রভাব ও জনদুর্ভোগ:
তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, দিনমজুর এবং ছিন্নমূল মানুষেরা। ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডার কারণে সকালে কাজে বের হতে পারছেন না অনেকেই। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিকরা মাঠে যেতে পারছেন না, ফলে তাদের আয় কমে গেছে।
ঠাণ্ডাজনিত রোগ: হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্দি, কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শিশুরা বেশি ভর্তি হচ্ছে।
যান চলাচল: সকালে ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক পথে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন।
উষ্ণ বস্ত্রের অভাব: দরিদ্র ও অসহায় মানুষরা পর্যাপ্ত উষ্ণ বস্ত্রের অভাবে খোলা আকাশের নিচে বা পুরাতন কাপড়ে রাত কাটাচ্ছেন। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।










