এভিয়েশন ডেস্ক:
ভারতের গুজরাট রাজ্যের রাজধানী আহমেদাবাদ দুই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। একটি ১৯৮৮ সালে, অন্যটি ২০২৫ সালের ১২ জুন। দুই ঘটনাই বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে।
১৯৮৮ সালের দুর্ঘটনা
১৯৮৮ সালের ১৯ অক্টোবর, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৩৭-২০০ বিমানটি মুম্বই থেকে আহমেদাবাদগামী ছিল। অবতরণের সময় এটি চিলোদা কোটারপুর গ্রামে বিধ্বস্ত হয়। বিমানে ১২৯ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন, যাদের মধ্যে মাত্র দু’জন প্রাণে বেঁচে যান। গুজরাট বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন উপাচার্য বিনোদ ত্রিপাঠী এবং শিল্পপতি অশোক আগরওয়াল।
২০২৫ সালের দুর্ঘটনা
২০২৫ সালের ১২ জুন, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইক যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিলেন, যার মধ্যে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, কারণ দুর্ঘটনায় গ্রাউন্ড ক্যাজুয়ালটিও ছিল।
বিমানটি দুপুর ১:৩৯ মিনিটে উড্ডয়ন করার পরপরই মেডিক্যাল কলেজের আবাসিক ভবনে বিধ্বস্ত হয়। পাইলট ‘মে ডে’ সংকেত পাঠালেও বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
একমাত্র জীবিত যাত্রী
এই দুর্ঘটনায় মাত্র একজন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান রামেশ বিশ্বাসকুমার। তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুই দুর্ঘটনার মিল
- উভয় দুর্ঘটনাই অবতরণের সময় বা উড্ডয়নের পরপরই ঘটেছে।
- দুই ক্ষেত্রেই মাত্র একজন বা দু’জন যাত্রী বেঁচে গেছেন।
- পাইলটের নিয়ন্ত্রণ হারানো ছিল মূল কারণ।
- দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিরাপত্তার প্রশ্ন
এই দুই দুর্ঘটনা ভারতের বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইঞ্জিনের thrust কমে যাওয়া, পাখির আঘাত, বা যান্ত্রিক ত্রুটি হতে পারে ২০২৫ সালের দুর্ঘটনার কারণ।
ভারত সরকার বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ভুক্তভোগীদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই দুই দুর্ঘটনা ভারতের বিমান চলাচলের ইতিহাসে মর্মান্তিক অধ্যায় হয়ে থাকবে