বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
খূলনা: মা-বাবাকে অচেতন করে মেয়েকে ধর্ষণ ও মালামাল লুট হয়েছেন নগরীর হরিণটানা থানার কৈয়া বাজার সংলগ্ন গোলা গ্রামে। সোমবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার নাটের গুরু গোবিন্দ ফৌজদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ভিকটিমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
ভিকটিমের বাগদান হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর বিয়ে। পুলিশি সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের সাথে গোবিন্দের পরিচয় ফেসবুকে। সেই সুত্রে তাদের কথা হতো। বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল গোবিন্দ। কিন্তু ভিকটিমের অভিভাবকরা তা নাকচ করে দেন। অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যুবকটি বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়েছে মেয়েটিকে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে আরও দুজনকে নিয়ে গোলা গ্রামের ঐ বাড়িতে ছাদের গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। দুর্বৃত্তরা চেতনানাশক স্প্রে করে গৃহকর্তাকে ছাদের একটি কক্ষে অচেতন করে রাখে। নিচের একটি কক্ষেও চেতনানাশক স্প্রে করে গৃহকর্তা স্ত্রীকে অচেতন করে। পরে তার হাত-পা বেধে রান্নাঘরে ফেলে রাখে। এর পর তারা গৃহকর্তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। অভিযোগ করা হয়েছে, মেয়েটিকে ৩ যুবক ধর্ষণ করে। তারা সবাই মুখোশ পরা ছিল। তাদের একজন ধর্ষণের সময় বলে যে, প্রতারণার প্রতিশোধ নিচ্ছি। মেয়েটি কণ্ঠ শুনে তাকে চিনতে পারে। বাকিদের তিনি চিনতে পারেননি। অন্য ২ জন হয়তো তার বন্ধু।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের পর দুর্বৃত্তরা ৬-৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩ লাখ টাকাসহ কিছু মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও সিআইডির টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় দস্যুতা ও ধর্ষণের অভিযোগে হরিণটানা থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশের ক্রাইম সিনের সদস্যরা ধর্ষণ সংঘঠিত হওয়া ঘরটি সিল করে দিয়েছে।
প্রধান অভিযুক্ত গোবিন্দ ফৌজদারকে আটক করেছে পুলিশ। ভিকটিম ও তার মা-বাবাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।