Home কৃষি নবাবগঞ্জের কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে

নবাবগঞ্জের কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে

সোবহান আলম, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে: বাজারে সয়াবিন, সরিষা, পামওয়েলসহ বিভিন্ন প্রকার তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়  নবাবগঞ্জে  বেড়েছে সরিষার চাষ। আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের পর ৩ মাস ধরে জমি ফেলে না রেখে বাড়তি আয় করতে একই জমিতে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন এখানকার কৃষকরা। কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
মাঠে মাঠে হলুদের সমাহার, প্রকৃতি সেজেছে হলুদ সাজে, প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছে  প্রকৃতি প্রেমিদের। মাঠে-ঘাটে, গ্রাম-গঞ্জে আর রাস্তায় সরিষার ফুলের সুভাস ছড়াচ্ছে, মুগ্ধ হচ্ছে পথচারীরা। দেশে ভেষজ তেলের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। এসব ভোজ্য তেল বেশির ভাগ আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে।আমদানিকৃত তেলের মূল্য দিন দিন বেড়েই চলছে। তেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে এবং চাহিদা মেটাতে সরিষার চাষ বৃদ্ধি করেছে  চাষিরা। ডিজেল তেলের দাম বাড়লেও সরিষার আবাদ বেশি করছেন তারা। কারণ সরিষা চাষ করতে পানির প্রয়োজন হয় না। এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতে কৃষকের খচর হয় দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় কৃষকরা সরিষা উৎপাদন করে থাকে ৫ থেকে ৬ মণ। সরিষা চাষের উপযোগী আবহাওয়া থাকায় ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। সেই সাথে সরিষা দাম বাজারে ভালো পেলে আমনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন তারা।
কৃষকদের সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অন্য ফসলের তুলনায় সল্প সময়ে লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১০২০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করেছে কৃষকেরা। তবে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে এই উপজেলায় সরিষার চাষ হয়েছিলো ৭৫০ হেক্টর জমিতে। আমরা মোট ১১৩০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার প্রদান করেছি।