Home টপ নিউজ পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার প্রভাব কাঁচাবাজারে

পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার প্রভাব কাঁচাবাজারে

 দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধের কারণে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে দাম আরো বাড়বে এমন আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়ে ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কুষ্টিয়া, বগুড়া ও ফরিদপুরসহ আরো কয়েকটি অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। এতে পুরো ঢাকা শহর জিম্মি হয়ে পড়ে। ফলে, কোনো ধরনের মালবাহী পরিবহন ঢাকা শহরে প্রবেশ করতে পারেনি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউনহল মার্কেট, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার ও শুক্রাবাদ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের তুলনায় বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। একটি বড় আকারের ফুলকপি রাখা হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ছোটগুলোর দাম রাখা হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। একদিন আগে এর দাম ছিল ১০ থেকে ২০ টাকা। বাধাকপি এক লাফে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

কাওরান বাজারে শাক ও এ জাতীয় সবজি ঢাকার আশেপাশের এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যানে আসে। এই ভ্যানগুলো প্রবেশ করতে না পারায় দাম বেড়েছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই বাজারে প্রায় ২০টি পিকআপ আসে। গতকাল এসেছে ৬টি। একজন পিকআপ চালক রাস্তায় মারধরের শিকার হয়েছেন বলেও জানা গেছে। দেশী পিয়াজ ১৬০ টাকা ও মিসরের ও চাইনিজ পিয়াজ বিক্রি হয় ১২০ টাকায়। কাওরান বাজারে দেশী পিয়াজ ১৫০ ও মিসরের ও চাইনিজ পিয়াজ বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। অবরোধের প্রভাবে চালের বাজারে প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। তবে আগে থেকেই চালের বাজারে দাম বেশি। মিনিকেট ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়, আটাশ ৩৩ থেকে ৩৬, পাইজাম ৩২ থেকে ৩৪ এবং নাজির শাইল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অস্থিতিশীল রয়েছে মাছের বাজার।