ইমামে রাব্বানি রিফাত। পড়াশোনা করে তিনি ছুটেননি চাকরির পেছনে। গরুর খামার করে তিনি পেয়েছেন ব্যাপক সফলতা। আর তাকে এ কাজে অর্থনৈতিক ও সার্বিক সহযোগিতা করেন স্কুল শিক্ষিকা মা রহিমা খাতুন।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
জয়পুরহাট: পাঁচবিবির ইমামে রাব্বানি রিফাত। পড়াশোনা করে তিনি ছুটেননি চাকরির পেছনে। গরুর খামার করে তিনি পেয়েছেন ব্যাপক সফলতা।
আর তাকে এ কাজে অর্থনৈতিক ও সার্বিক সহযোগিতা করেন স্কুল শিক্ষিকা মা রহিমা খাতুন। অবসর সময়ে ছেলের সঙ্গে ফার্মের গরু দেখাশোনা করেন তিনি। শখের বসে রিফাত ২’টি গরু বাসায় লালন-পালন শুরু করে।
পশুপ্রীতি দেখে একমাত্র ছেলেকে চাকরি করতে না দিয়ে গরুর ফার্ম করার পরামর্শ দেন। এরপর মা-ছেলে মিলে বাসার পাশেই ফার্ম গড়ে তোলেন। এরপর ফার্মে দেশী গরুর পরিবর্তে বিদেশী জাতের গরু সংগ্রহ করেন।
বর্তমানে তাদের ফার্মে ফ্লেকভি, ব্রাফোর্ড, ব্রাহমা, গিরি, ভুটিয়া, সাহিওয়াল প্রায় ৫০-৬০টি গরু লালন-পালন হচ্ছে। গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে মোটাতাজা করা হয়।
ফার্মের গরু হাটে-বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের ঝামেলা এড়িয়ে রিফাত তার ফেসবুক আইডি, ইউটিউব ও অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করেন্র
ফার্ম থেকে তারা লাভবান হচ্ছে সেই সঙ্গে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ডাক্তার নিয়মিত ফার্ম পরিদর্শন চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
পৌর শহরের রামতনু গ্রামের রিফাত ঢাকায় কম্পিউটার সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়ালেখার সময় থেকেই পশু-পাখির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা।
শখ থেকেই রিফাত এখন সফল হয়েছে গরুর ফার্ম করে। হাটে বেঁচাকেনার ঝাঁমেলায় না গিয়ে অন-লাইন বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ক্রেতার ঠিকানায় গরু পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অনেকেই আবার ফার্মে স্ব-শরীরে এসেও বাসা-বাড়িতে লালন-পালনের জন্য বিদেশী জাতের এসব গরু ক্রয় করছেন। রিফাতের মা রহিমা বলেন, আমার একমাত্র ছেলে তাকে চাকরি বা ব্যবসার কারনে দূরে কোথাও না রেখে গরুর ফার্ম করে দিয়েছি।
অবসর সময়ে আমিও ফার্ম একটু দেখভাল করে। ফার্ম করে ছেলে যেমন সফল হয়েছে তেমনি অনেক যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ছেলে যে সফল উদ্যোক্তা হয়েছে মা হিসাবে আমি গর্ববোধ করি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নিয়ায কাজমীর রহমান বলেন, রিফাতের ফার্মে বদেশী জাতের গরু লালন-পালন হয়। আমরা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সর্বদা চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দেই।