Home তথ্য প্রযুক্তি ফেসবুকে সময় নষ্ট নয়, আয় করবেন কীভাবে?

ফেসবুকে সময় নষ্ট নয়, আয় করবেন কীভাবে?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:

ফেসবুক মনিটাইজেশন এবং অনলাইন আয়ের বর্তমান প্রেক্ষাপট।

২০২৫ সালের নতুন আপডেট অনুযায়ী, এখন শুধু পেজ নয়, নিজের ব্যক্তিগত প্রোফাইলকে ‘Professional Mode’ এ রূপান্তর করেও আয় করা সম্ভব। আয়ের মূল উৎসগুলো হলো:

In-Stream Ads: আপনার বড় ভিডিওর মাঝে যে বিজ্ঞাপন দেখায়, তা থেকে আয়ের বড় অংশ আসে। (শর্ত: সাধারণত ৫,০০০ ফলোয়ার এবং গত ৬০ দিনে ৬০,০০০ মিনিট ভিউ)।

Ads on Reels: ছোট ভিডিও বা রিলস এখন আয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার রিলস যত বেশি ভিউ হবে, ফেসবুক আপনাকে তত বেশি বোনাস বা অ্যাড রেভিনিউ দেবে।

Stars & Gifts: লাইভ ভিডিও বা রিলস দেখার সময় দর্শকরা আপনাকে ‘স্টার’ পাঠাতে পারেন, যা পরে ডলারে রূপান্তরিত হয়।

ফেসবুক এখন ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিলস অ্যাডস এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি একক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে। ফলে ভিডিওর পাশাপাশি আপনার ছবি এবং টেক্সট পোস্ট থেকেও আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে, যদি সেগুলোতে প্রচুর এনগেজমেন্ট (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার) থাকে।

নিজের কোনো পণ্য থাকলে বা রিসেলিং ব্যবসা করতে চাইলে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস একটি শক্তিশালী জায়গা।

লোকাল সেলিং: আপনার এলাকার আশেপাশে পণ্য বিক্রির জন্য মার্কেটপ্লেস সেরা।

ফেসবুক শপ: একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড হিসেবে পেজে শপ সেটআপ করে সরাসরি পণ্য বিক্রি করা যায়।

অন্য কোনো কোম্পানির (যেমন: Amazon, Daraz) পণ্যের লিঙ্ক আপনার পেজ বা গ্রুপে শেয়ার করে সেই বিক্রয় থেকে কমিশন আয় করা সম্ভব। প্রযুক্তি বা লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য এটি অত্যন্ত লাভজনক।

যখন আপনার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক অনুসারী বা ‘Niche’ অডিয়েন্স তৈরি হবে, তখন বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের প্রচারণার জন্য আপনাকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে। ২০২৫ সালে মাইক্রো-ইনফ্লুয়েন্সারদের (৫ক-৫০ক ফলোয়ার) চাহিদা ব্র্যান্ডগুলোর কাছে অনেক বেশি।

আপনার যদি বিশেষ কোনো দক্ষতা থাকে (যেমন: রান্না শেখানো, ফ্রিল্যান্সিং কোর্স, বা এক্সক্লুসিভ ভ্লগ), তবে আপনি Subscription চালু করতে পারেন। এতে অনুসারীরা প্রতি মাসে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে আপনার বিশেষ কন্টেন্ট দেখতে পাবেন।

সফল হওয়ার ৩টি টিপস:

১. মৌলিক কন্টেন্ট (Original Content): অন্যের ভিডিও কপি করলে কপিরাইট ইস্যুতে মনিটাইজেশন বন্ধ হয়ে যাবে। নিজের ক্যামেরা দিয়ে করা ভিডিও বা নিজের তৈরি ছবি ব্যবহার করুন। ২. ধারাবাহিকতা: সপ্তাহে অন্তত ৩-৪টি রিলস এবং ১-২টি বড় ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করুন। ৩. এনগেজমেন্ট: দর্শকদের কমেন্টের উত্তর দিন এবং তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। ফেসবুকের অ্যালগরিদম ইন্টার‍্যাকশনকে খুব গুরুত্ব দেয়।

 ফেসবুক থেকে আয় করা এখন আগের চেয়ে সহজ হলেও এর জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন। সঠিক নিয়ম মেনে এবং নিয়মিত মানসম্মত কন্টেন্ট আপলোড করলে এটি আপনার আয়ের স্থায়ী উৎস হয়ে উঠতে পারে।