বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মথুরার শাহী ঈদগা মসজিদ নিয়ে সমীক্ষার দাবিতে সায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালত নিয়োজিত কমিটি খতিয়ে দেখবে হিন্দু পক্ষের দাবি। আদালতে দাবি করা হয়েছিল, মসজিদের ১৩ একর জমিই শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি। সেখানেই ছিল মূল মন্দির।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে একই ধরনের সমীক্ষা গত বছর শেষ হয়েছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে সেখানে নিরীক্ষণের কাজ করছে ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ সংস্থা। চলতি মাসের শেষে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার কথা। একই পথে এগোতে পারে মথুরার মামলাও। নতুন করে শুরু হতে পারে মন্দির-মসজিদ রাজনীতি।
মথুরার মামলায় দাবি করা হয়, শাহী ঈদগা মসজিদে হিন্দু মন্দিরের নিদর্শন রয়েছে। সেই অংশ হিন্দুদের ফিরিয়ে দিক আদালত। বারাণসীর আদালতের মতো মথুরার ক্ষেত্রেও আদালত সমীক্ষার নির্দেশ দিক। সেই দাবিতেই বৃহস্পতিবার সায় দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এই বিষয়ে স্থানীয় আদালতে একগুচ্ছ মামলা হয়েছিল। নিম্ন আদালত সমীক্ষায় সায় দেয়নি। মামলাকারীরা হাইকোর্টে যান।
গত ১৩ মে দায়ের হওয়া প্রথম মামলাটি করেন নারায়ণী সেনা নামের একটি সংগঠনের জাতীয় সভাপতি মণীশ যাদব। তাঁর বক্তব্য, শাহী ইদগা মসজিদের ভিতরে হিন্দু মন্দিরের বহু নিদর্শন রয়েছে। সেগুলি নষ্ট করে ফেলার আগে ভিডিও সমীক্ষা করা প্রয়োজন।
মণীশ যাদব শ্রীকৃষ্ণজন্মভূমি পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত একটি মামলারও মূল আবেদনকারী। এই রকম একাধিক মামলায় দাবি করা হয়, মসজিদ সরিয়ে নিতে হবে। সেটি শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির উপর তৈরি হয়েছে।
মামলাগুলির সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদের ঘোষণার মিল রয়েছে। তারা আগেই ঘোষণা করে রেখেছে, অযোধ্যায় রামজনমভূমি পুনরুদ্ধারের পর মথুরা এবং বারাণসী নিয়ে লড়াইয়ে নামবে। রাম মন্দির – বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় এক্ষেত্রে ভিএইচপির বড় হাতিয়ার।
অযোধ্যার ক্ষেত্রে বিতর্কিত জমি রামের জন্মস্থান বলে মেনে নেয় শীর্ষ আদালত। আদালতের রায়ে সেখানে জোরকদমে চলছে রামমন্দির নির্মাণের কাজ।
অযোধ্যা মামলার রায়ের পরই বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছিল, ওই রায়কে হাতিয়ার করে হিন্দু পক্ষ এরপর অন্যত্র হিন্দু মন্দির, দেবস্থান পুনরুদ্ধারের দাবি তুলতে শুরু করবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মসূচির মধ্যেও তা আছে। বস্তুত সেই কারণে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তারা নয়া স্লোগান আমদানি করে, ‘এত সিরফ ঝাঁকি হ্যাঁয়, কাশী, মথুরা বাকি হ্যাঁয়।’
লক্ষ্যণীয় হল, বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে শৃঙ্গারগৌরী দেবীর মন্দিরে সারা বছর পূজাপাঠ করার অনুমতি চেয়ে মামলা করেছেন পাঁচ মহিলা, যাঁদের চারজন সাধারণ গৃহবধূ। আইনি লড়াই করছে আসলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদই।