সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির বয়স নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীর প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়স অনুসারে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তি হতে হবে। বিষয়টি জানিয়ে জেলা প্রশাসকদের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির বয়স নিয়ে দ্বিধার সৃষ্টি হয়েছিল। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ১ম শ্রেণিতে ভর্তিতে শিক্ষার্থীর বয়স পাঁচ বছর নির্ধারণ করা হলেও ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে সে বয়স ছয় বছর করা হয়। তাই পরবর্তী শ্রেণিতে এসব শিক্ষার্থীর ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স কীভাবে নির্ধারিত হবে তা নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছিলেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ভর্তি কমিটির সদস্যরা। এ জটিলতা নিরসনে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা ভর্তির বয়স নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো মোকছেদ আলী স্বাক্ষরিত নির্দেশনায়, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষর্থীর বয়স অনুসারে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে তার বয়স নির্ধারণ করতে হবে। আর ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীর বয়স অনুসারে পরবর্তী শ্রেণিতে তার বয়স নির্ধারণ করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সবকিছু নিয়মিত থাকলে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে পাঁচ বছর বয়সে ১ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে। ভর্তিকালীন বয়স অনুসারে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে তার বয়স হবে ১০ বছর। তাই ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে সেই শিক্ষার্থীর বয়স হবে ১০ বছর। তাই ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ১ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীকে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে সরকারি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ১০ বছর।
একইভাবে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ছয় বছর বয়সে ১ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ৫ম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে। ভর্তিকালীন বয়স অনুসারে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে তার বয়স হবে ১০ বছর। তাই ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ৫ম শ্রেণিতে ভর্তিতে সেই শিক্ষার্থীর বয়স হবে ১০ বছর। তাই ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ১ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীকে সরকারি স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে তাই বয়স হতে হবে ১০ বছর।