বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বিএম কন্টেইনার ডিপোর ভয়াবহ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। জেটিতে পড়ে থাকা আমদানিকৃত বিপজ্জনক পদার্থ হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জরুরিভিত্তিতে। আজ সোমবার বিকেলে প্রকাশ্যে এসব রাসায়নিক নিলামে বেচে দেয়া হবে। হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড প্রধানত টেক্সটাইল, ডাইংসহ নানা শিল্পে ব্যবহার করা হয়।
কাস্টম হাউসসূত্রে জানা যায়, খালাসের অপেক্ষায় বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড নিলামে বেচে দেয়ার জন্য কাস্টমসকে চিঠি দিয়েছে রবিবার। চিঠি পাওয়ার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেগুলো নিলামে তুলে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।কাস্টমসের উপকমিশনার আলী রেজা হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, দুই কনটেইনারের চালানটি প্রকাশ্য নিলামে তোলা হবে। সংরক্ষিত দামের ১০ শতাংশ পে–অর্ডার বা নগদ টাকা দিয়ে আগ্রহীরা নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড তুরস্ক থেকে চার বছর আগে হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের চালানটি নিয়ে আসে। আমদানির পর প্রতিষ্ঠানটি সেগুলো খালাস করেনি। এরপর থেকে দুই কনটেইনারের চালানটি বন্দরের চত্বরে পড়ে আছে। চালানটিতে ৩০ হাজার ৪৫০ কেজি হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড রয়েছে। এই চালানের সংরক্ষিত দাম ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, বিএম ডিপোতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণ হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বোঝাই কনটেইনার। এই বিস্ফোরণ পুরো ঘটনাকে নিয়ে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিস্ফোরণের জন্য প্রাথমিক ভবে ধারণা করা হয়েছে যে, কনটেইনারে থাকা দাহ্য পদার্থ থেকেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কনটেইনারে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল যা আগুনের তাপে বিস্ফোরিত হয়। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণেই এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। যার কারণে আগুনে বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে তিন দফা।