বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, রাজশাহী: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা পাড়ের শহর রাজশাহী। হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে এবং ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস থেকে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। রাকসু জিএস ও সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দীন আম্মারের নেতৃত্বে মিছিলটি নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে এসে অবস্থান নেয়। রাত দেড়টার দিকে বিক্ষোভকারীরা নগরের কুমারপাড়ায় অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে চড়াও হয় এবং এস্কেভেটর দিয়ে ভবনটি ভাঙা শুরু করে। ভোর ৪টার দিকে বহুতল ভবনটি পুরোপুরি ধূলিসাৎ হয়ে যায়। শুক্রবার সকালে দেখা যায়, স্থানীয় ভাঙারি ব্যবসায়ী ও ছিন্নমূল মানুষ ধ্বংসস্তূপ থেকে ইট ও রড খুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙার সময় সালাহউদ্দীন আম্মার ঘোষণা দেন, “রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ এবং ভারতীয়দের কোনো চিহ্ন রাখা হবে না। গুঁড়িয়ে দেওয়া এই আওয়ামী লীগ অফিসের জায়গায় জনগণের জন্য পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে রাকসুর ভিপি ও রাবি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো সুশীল পত্রিকা বন্ধ করে দিতে হবে।” এ সময় তিনি সমাবেশস্থলে উপস্থিত ওই দুই সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। একইসাথে তিনি রাজশাহী থেকে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন উচ্ছেদের চূড়ান্ত ঘোষণা দেন।
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজশাহীর সাহেববাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এনসিপি। মিছিল থেকে শরীফ ওসমান হাদির খুনিদের অনতিবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের অফিস উচ্ছেদের দাবি জানানো হয়।
রাজশাহী মহানগরীজুড়ে বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
এ ধরণের আরও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে ভিজিট করুন www.businesstoday24.com










