বিনোদন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কাইলি স্ট্রাডার (Kylie Strada) আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদনজগতে। মাত্র ২৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন এই তারকা। সংবাদমাধ্যম টিএমজেড-এর তথ্য অনুযায়ী, তার মৃত্যুর পেছনে রয়েছে অতিমাত্রায় মাদক সেবনের দুঃসহ পরিণতি।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রাণঘাতী ফেন্টানিলসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়া এই সিন্থেটিক ড্রাগটির সাথেই যুক্ত হয়েছে বহু অকালমৃত্যু। তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা যে মাদকের অতিরিক্ত প্রভাবে হার্ট ফেইলিউরের মাধ্যমে মৃত্যু হয়েছে কাইলির।
কয়েক বছর ধরেই কাইলি স্ট্রাডা যুক্ত ছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন শিল্পে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ছিল তার বিশাল অনুসারী-ভিত্তি। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবনে নানা টানাপড়েন ও মানসিক চাপের ইঙ্গিত মিলেছে বিভিন্ন সূত্রে।
জানা গেছে, মৃত্যুর আগে কিছু সময় ধরে কাইলি ছিলেন বিষণ্ণতা ও ব্যক্তিগত সঙ্কটে ভুগছিলেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা মার্কিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ফ্লোরে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন কাইলি। নাক ও মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
মৃত্যুর সময় কাইলির ঘরে মাদক সেবনের নানা উপকরণও পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল-সংক্রান্ত অতিমাত্রাজনিত মৃত্যু গত কয়েক বছরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী এই মাদকটি খুব অল্প পরিমাণেই প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
কাইলির হঠাৎ মৃত্যু প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন জগতের পাশাপাশি তার ভক্তদেরও শোকাহত করেছে। এক সময়ের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তুললেও মাদকের ছোবলই যেন তাকে আগেভাগেই গ্রাস করল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্য উপেক্ষা করে শুধুমাত্র খ্যাতির পেছনে ছুটলে পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। কাইলির মৃত্যু সে বার্তাই যেন আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিল।
👉 এই খবরে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে শেয়ার করুন ও মন্তব্য করুন। মাদক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হোন।