নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম: আগামী ১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই)র নির্বাচনে অর্ডিনারি গ্রুপ থেকে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি খাতের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)-এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। তিনি পরপর তিনবার সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং একসময় সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবেও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ‘ইউনাইটেড বিজনেস ফোরাম’ প্যানেল থেকে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি ও বিশিষ্ট উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আমিরুল হক। শিল্প ও বাণিজ্য জগতে মোহাম্মদ আমিরুল হক শুধু চট্টগ্রামের নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের এক অনন্য নাম। শিপিং, সিমেন্ট, এলপিজি, ভোজ্যতেল, জ্বালানি, চিংড়ি হ্যাচারি, রিয়েল এস্টেটসহ বিভিন্ন খাতে তাঁর অবদান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক নীতিনির্ধারণে গভীর জ্ঞান এবং সমস্যা সমাধানে কার্যকর কৌশল ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি ও বিশ্বাসযোগ্যতা দিয়েছে।
বিজনেসটুডে২৪.কমের সঙ্গে এক একান্ত আলাপচারিতায় মো. হাবিবুর রহমান চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্য, রিকন্ডিশন্ড গাড়ি খাতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ এবং নিজের নির্বাচনী অঙ্গীকারের কথা বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, রিকন্ডিশন্ড মোটরযান সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, ব্যবসায়ীদের নীতি-প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ খুব সীমিত। বারভিডায় কাজ করার সময় আমি শিখেছি কীভাবে নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে হয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই আমি এবার চেম্বারের নির্বাচনে এসেছি ব্যবসায়ীদের অধিকতর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে।
মো. হাবিবুর রহমান জানালেন, ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে একটি আরও সক্রিয়, প্রভাবশালী ও নীতিনির্ধারণে কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। আমরা বিশ্বাস করি, চেম্বারকে কেবল একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্থা হিসেবে দেখলে চলবে না, বরং এটিকে আধুনিক ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি dynamic platform হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি মনে করেন, কিছু অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, বিশেষত ক্রমবর্ধমান যানজট এবং বন্দরের কার্যক্রমে ধীরগতি ব্যবসা সম্প্রসারণে গুরুতর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। পণ্য পরিবহন, খালাস ও সরবরাহের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো ব্যবসায়ীদের সময় ও অর্থের অপচয় ঘটাচ্ছে। চেম্বারকে এ ক্ষেত্রে একটি কার্যকর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে হবে।
নীতির অস্থিরতা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি খাতের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার প্রায়শই হঠাৎ করে শুল্ক কাঠামোতে পরিবর্তন আনে, যার ফলে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে যখন নীতিতে স্থায়িত্ব থাকে না। আবার কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়াতেও অনেক সময় অসামঞ্জস্য দেখা যায়, যা ব্যবসায়িক জটিলতা বাড়ায়। এসব কারণে অনেক উদ্যোক্তা এই খাতে নতুন বিনিয়োগ করতে অনিশ্চয়তা বোধ করেন এবং অনেকেই পুঁজি হারাচ্ছেন। আমি চাই, চেম্বার এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখুক এবং সরকারের সঙ্গে কার্যকর আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবসা নীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করুক।
ভোটারদের প্রতি হাবিবুর রহমান-এর বিনীত অনুরোধ —ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের প্যানেলকে সমর্থন দিন, আমাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। আমি ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের সকল প্রার্থীর জন্য ভোট চাই এবং আশা করি এই প্যানেলই জয়ী হয়ে চেম্বার বোর্ড গঠন করবে। আমরা একসাথে চট্টগ্রামের ব্যবসায়িক উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায় রচনা করব এবং চেম্বারকে একটি সত্যিকারের ব্যবসায়ীবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করব।
মো. হাবিবুর রহমান | ব্যালট ক্রমিক নং-৯ |
পরিচালক পদপ্রার্থী | অর্ডিনারি গ্রুপ










