জেদ্দায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধারাবাহিক বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়ক, উপশহর এবং আবাসিক এলাকার বহু অংশ প্লাবিত হয়। স্থানীয় প্রশাসন রাস্তায় পানি নিষ্কাশনে জরুরি কর্মী ও যন্ত্রপাতি নামালেও বন্যারূপী অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচল দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে। মক্কা নগরীর কয়েকটি এলাকায় পাহাড়ি ঢল নামার আশঙ্কায় সিভিল ডিফেন্স জরুরি নির্দেশনা দেয় এবং মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানায়।
মদিনার বিভিন্ন অংশেও প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বাসা–বাড়ির প্রবেশপথে পানি উঠে যায়। সেখানকার হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট এলাকাগুলোতে পানি ঢুকে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। প্রশাসন বিকল্প রাস্তা ব্যবহার ও অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যেতে নির্দেশ দিয়েছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোহিত সাগর উপকূলে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে এ ধরনের বৃষ্টি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম।
নিকট অতীতেও সৌদি আরব একই ধরনের দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছিল। চলতি বছরের ৬–৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে জেদ্দা, মক্কা ও মদিনা অঞ্চলে টানা বৃষ্টিপাতে আকস্মিক বন্যা, যানজট ও উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। সেসময়ও জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল। তারও আগে জেদ্দায় বিভিন্ন সময়ে মৌসুমি ভারি বর্ষণ ও বন্যার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ২০০৯ সালের বন্যা সবচেয়ে বড় দুর্যোগ হিসেবে মনে করা হয়।
এদিকে চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল ডিফেন্স, ট্রাফিক বিভাগ ও মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে উদ্ধার ও পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে বৃষ্টির তীব্রতা কম না-আসা পর্যন্ত জনদুর্ভোগ বাড়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে।