বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তার এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর এলাকায় কয়েক লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে, যা এক বিশাল উৎসবে পরিণত হয়।
তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমান। বেলা পৌনে ১২টার দিকে তারা বিমান থেকে নামলে এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় পর প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। অভ্যর্থনা কমিটিতে উপস্থিত ছিলেন:
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (মহাসচিব)
রুহুল কবির রিজভী (জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব)
সালাহউদ্দিন আহমদ (স্থায়ী কমিটির সদস্য)
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও মির্জা আব্বাস সহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
শীর্ষ নেতারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন।
ভোর থেকেই ঢাকা ও আশেপাশের জেলাগুলো থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিমানবন্দর অভিমুখে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ব্যানার, ফেস্টুন আর প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে যায় বিমানবন্দর সড়ক। শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদেরও তৎপর থাকতে দেখা গেছে।
২০০৮ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার পর থেকে তারেক রহমান সেখানেই অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ভার্চুয়ালি দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তার এই সশরীরে প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ও দলীয় পুনর্গঠনে তার উপস্থিতি তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করবে।










