বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ভারত থেকে আমদানির অনুমতি মেলার পরও দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে স্বস্তি মেলেনি। ক্রেতাদের প্রত্যাশা ছিল আমদানির ফলে দাম কমবে, কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। বাজারে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেশীয় নতুন (মুড়িকাটা) পেঁয়াজের সমান চড়া দামে। অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিলেও খুচরা বাজারে এখনো তা কার্যকর হয়নি।
গতকাল বুধবার ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত বড় আকারের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। একই দরে বিক্রি হচ্ছে দেশীয় নতুন বা মুড়িকাটা পেঁয়াজ। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে। অথচ মাত্র দুদিন আগেও মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা এবং পুরোনো পেঁয়াজ ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ, আমদানির খবরে সাময়িক দাম কমলেও দুদিনের ব্যবধানে তা আবারও বেড়ে আগের অবস্থানে ফিরেছে।
ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
ভারতীয় পেঁয়াজের চড়া দামের কারণ সম্পর্কে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে খুব কম। শ্যামবাজারে অল্প কিছু আড়তে ভারতীয় পেঁয়াজ মিলছে, সেখানে কেনা দামই পড়ছে ১১২ থেকে ১১৫ টাকা। পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ১২০ টাকার কমে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।’
অন্যদিকে খুচরা ব্যবসায়ী এরশাদ আলী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারতে পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ রুপির মতো। তাহলে বাংলাদেশে আসার পর দাম এত বাড়বে কেন? দাম বেশি হওয়ায় আমি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি না।’
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম যদি এতই বেশি থাকে, তবে আমদানি করে লাভ কী হলো? আমদানি মূল্য এবং শুল্ক খরচ যোগ করে দেশে প্রকৃত বিক্রয়মূল্য কত হওয়া উচিত, তা সরকারের পরিষ্কার করা উচিত।’










