Home স্বাস্থ্য অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ঋতুস্রাবের ব্যথা: ফাইব্রয়েড নয় তো?

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ঋতুস্রাবের ব্যথা: ফাইব্রয়েড নয় তো?

হেলথ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে জরায়ুর ফাইব্রয়েড। এটি মূলত জরায়ুর পেশির এক ধরণের টিউমার, যা সাধারণত ক্যান্সার নয়। তবে সময়মতো চিকিৎসা না করালে এটি নারীদের জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ কেড়ে নিতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, সন্তানধারণের বয়সে থাকা নারীদের মধ্যে এই সমস্যার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

জরায়ুতে ফাইব্রয়েড বাসা বাঁধলে শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ প্রকট হয়ে ওঠে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডের সময় অস্বাভাবিক পেট ও কোমরে যন্ত্রণা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সাধারণ ব্যথানাশক ওষুধেও এই যন্ত্রণা উপশম হয় না। এছাড়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং পিরিয়ড দীর্ঘস্থায়ী হওয়া ফাইব্রয়েডের প্রাথমিক লক্ষণ। তলপেট সবসময় ভারী লাগা কিংবা প্রস্রাবের বেগ বৃদ্ধি পাওয়াও এই রোগের লক্ষণ হতে পারে।

ফাইব্রয়েড কেবল যন্ত্রণার কারণই নয়, এটি মাতৃত্বের পথেও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। চিকিৎসকরা সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, জরায়ুর ভেতরে এই টিউমারের অবস্থানের কারণে ভ্রূণ সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। ফলে গর্ভপাতের আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকি এটি দীর্ঘমেয়াদী বন্ধ্যাত্বের কারণও হতে পারে।

রোগটি নির্ণয়ে বর্তমানে ট্র্যান্সভ্যাজাইনাল আল্ট্রাসনোগ্রাফি (TVS) সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। এই পরীক্ষার মাধ্যমে টিউমারের সঠিক আকার ও অবস্থান জানা যায়। টিউমারটি ছোট থাকলে অনেক ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তবে আকার বড় হলে বা জটিলতা বেশি হলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা রক্তক্ষরণকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সুশৃঙ্খল জীবনযাপন এই রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।