বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ রাজনীতির সমীকরণ মেলাতে শরিক দলগুলোর মধ্যে আরও আটটি আসন বণ্টন করেছে বিএনপি।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শরিক দলের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে মঙ্গলবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে চারটি আসন ছেড়ে দিয়েছিল দলটি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত শরিকদের জন্য ১২টি আসন নিশ্চিত করল বিএনপি।
নতুন ঘোষিত তালিকায় দেখা গেছে, হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসন থেকে এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক ঢাকা-১২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)-এর চেয়ারম্যান মোস্তফা জামান হায়দারকে পিরোজপুর-১ আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী হচ্ছেন।
এছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি রশিদ যশোর-৫ এবং বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ঢাকা-১৭ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে বিএনপি কোনো আলাদা প্রার্থী দেবে না। জোটের ঐক্য ধরে রাখতে এসব আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। দলের কেউ যদি বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে নীলফামারী-১, নারায়ণগঞ্জ-৪, সিলেট-৫ ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসন বরাদ্দ দিয়েছিল বিএনপি। দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি ইতিমধ্যে ২৭২ আসনে নিজস্ব প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে। শরিকদের আরও ৮টি আসন দেওয়ার পর বর্তমানে ১৬টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা বাকি রয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এখন কৌতূহল এই বাকি ১৬টি আসন নিয়ে বিএনপি শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়।










