শামসুল ইসলাম, ঢাকা: দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর এই ফিরে আসা কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নয়, বরং বৈশ্বিক অঙ্গনেও তৈরি করেছে ব্যাপক আলোড়ন। বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রচার করেছে।
এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরছি বিশ্বখ্যাত ১০টি সংবাদমাধ্যমের চোখে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের ১০টি আলোচিত শিরোনাম:
১. আল জাজিরা (কাতার): “১৭ বছরের নির্বাসন শেষে বাংলাদেশে ফিরলেন প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা তারেক রহমান” কাতারের এই প্রভাবশালী মাধ্যমটি তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছে।
২. বিবিসি (যুক্তরাজ্য): “তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এক নতুন শক্তির উত্থান?” ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন তাদের বিশেষ বিশ্লেষণে দেখিয়েছে কীভাবে তারেক রহমানের নেতৃত্ব বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিতে পারে।
৩. রয়টার্স (যুক্তরাষ্ট্র): “হাজারো মানুষের ভিড়ে ঢাকা বিমানবন্দর: নির্বাসন কাটিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে তারেক রহমান” আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স গুরুত্ব দিয়েছে বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ লক্ষ লক্ষ মানুষের আবেগ এবং রাজনৈতিক শক্তির বহিঃপ্রকাশকে।
৪. অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস – এপি (যুক্তরাষ্ট্র): “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ফিরলেন আগামীর নেতৃত্ব নিতে” এপি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, তারেক রহমানের এই ফেরা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে এক বিশাল সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গেছে।
৫. দ্য গার্ডিয়ান (যুক্তরাজ্য): “নির্বাসন থেকে ফেরা তারেক রহমান: বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পরবর্তী ধাপে কি তার নেতৃত্ব নিশ্চিত?” লন্ডনভিত্তিক এই পত্রিকাটি তারেক রহমানের নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কারের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করেছে।
৬. এনডিটিভি (ভারত): “তারেক রহমানের দেশে ফেরা: ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ক্ষমতার নতুন মেরুকরণ” ভারতীয় এই গণমাধ্যমটি তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেছে।
৭. দ্য হিন্দু (ভারত): “দীর্ঘ ১৭ বছর পর ঢাকায় তারেক: বিএনপির নির্বাচনী পালে নতুন হাওয়া” ভারতের এই প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিকটি বলছে, তারেক রহমানের উপস্থিতি বিএনপির তৃণমূলে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।
৮. ডয়চে ভেলে (জার্মানি): “তারেক রহমানের ফেরা: মানবাধিকার ও রাজনৈতিক সংস্কারের পথে নতুন চ্যালেঞ্জ?” জার্মান গণমাধ্যমটি তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন এবং একই সাথে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেছে।
৯. ওয়াশিংটন পোস্ট (যুক্তরাষ্ট্র): “বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্য পরিবর্তনে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন” যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ পত্রিকাটি মন্তব্য করেছে যে, তারেক রহমানের উপস্থিতি বাংলাদেশের ক্ষমতার লড়াইকে এক নাটকীয় মোড় এনে দিয়েছে।
১০. সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (হংকং): “লন্ডন থেকে ঢাকা: তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বদলে গেল দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতি” পূর্ব এশিয়ার এই জনপ্রিয় পত্রিকাটি তারেক রহমানের ফেরাকে দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আখ্যা দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থান করছিলেন তারেক রহমান। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হলে এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক হওয়ার প্রেক্ষিতে আজ তিনি দেশে ফেরেন। রাজধানী ঢাকা আজ উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ জনতা তাদের প্রিয় নেতাকে বরণ করে নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন কেবল একটি রাজনৈতিক দলের নেতার ফেরা নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যের এক নতুন সূচনা।










