Home চট্টগ্রাম যুক্তি-তর্ক ও আইন দিয়ে পোশাক শিল্পের সমস্যা সমাধান করা হবে: মাহবুবুল হাসান

যুক্তি-তর্ক ও আইন দিয়ে পোশাক শিল্পের সমস্যা সমাধান করা হবে: মাহবুবুল হাসান

চট্টগ্রাম: কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পোশাক শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। তৃতীয় কোনো পক্ষের সুযোগ নেওয়া বন্ধ করতে এবং শিল্পের চাকা সচল রাখতে উভয় পক্ষ যুক্তি, তর্ক ও আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে সমস্যা নিরসনের ওপর জোর দিয়েছে।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ভবনে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, চট্টগ্রামের ডিআইজি মোহাম্মদ মাহবুবুল হাসানের সাথে বিজিএমইএ নেতাদের এক মতবিনিময় সভায় এসব বিষয় উঠে আসে।

সভায় প্রধান আলোচক ডিআইজি মোহাম্মদ মাহবুবুল হাসান বলেন, ‘‘তৈরি পোশাকশিল্প দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। আমাদের কাজই হচ্ছে গার্মেন্টস মালিকদের সহযোগিতা করা। রাষ্ট্রে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তৃতীয় পক্ষ বা সুবিধাবোগীরা সুযোগ নিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরের কিছু ছোট ছোট সমস্যাকে বড় করে ফেলছে।’’

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘আমরা চাই এসব সমস্যা আর না হোক। এজন্য আমরা কলকারখানা অধিদপ্তর ও বিজিএমইএ একসথে কাজ করতে চাই। যুক্তি-তর্ক-আইন দিয়ে পোশাক শিল্পের সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। লাইসেন্স পেতে হয়রানির বিষয়টিও সমাধান হবে। আমরা চাই শ্রম আইনের অভিযোগগুলো নিরসন আপনাদের মাঝেই হয়ে থাকুক। মালিক-শ্রমিকের বিষয়গুলো যেন আমরা মিলেমিশে কাজ করলে দপ্তরের বাইরে না যায়।’’ এসময় তিনি কলকারখানা অধিদপ্তরের সেবা কার্যক্রমে বিদ্যমান সমস্যাদি নিরসনপূর্বক দ্রুততার সাথে সেবা প্রদানের আশ্বাস দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রফিক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি লাইসেন্স পেতে বা নবায়ন করতে আমাদের মালিকদের বেশি কষ্ট হচ্ছে। এক্ষেত্রে কলকারখানা অধিদপ্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিভিন্ন সমস্যার কারণে এখন অনেক গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ছোট ফ্যাক্টরিগুলোর অবস্থা আরও করুণ। আইনের বিভিন্ন জটিলতা কমিয়ে না আনলে গার্মেন্ট ব্যবসা বিদেশিদের হাতে চলে যাবে।’’

রফিক চৌধুরী আরও বলেন, ডিআইএফই-এর কোনো অ্যাকশনের কারণে যেন আর একটি কারখানাও বন্ধ না হয়। তিনি কারখানার লাইসেন্স নবায়ন, নতুন লাইসেন্স ইস্যু, শ্রমিক অভিযোগ, পরিদর্শন সংক্রান্ত আচরণবিধি, বেতন-ভাতা সংক্রান্ত জটিলতা, অনাকাঙ্ক্ষিত নজরদারি এবং বহিরাগত তথাকথিত শ্রমিক নেতাদের হয়রানি বন্ধে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় বিজিএমইএ’র পরিচালক এমডি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো. সাইফ উল্লাহ মনসুর, এনামুল আজিজ চৌধুরী, রাকিবুল আলম চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, রিয়াজ ওয়াজেজ, চৌধুরী নাইম রহমান, মো. আব্দুর রহিম ও মো. ইলিয়াস চৌধুরী এবং শ্রম পরিদর্শক রেজাউল রেশমা বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া সভায় বিজিএমইএ’র প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ আতিক, ওয়াহিদ মুনির চৌধুরী, কাজী মো. শফিকুল ইসলাম (টিটু), আরশাদ উর রহমান, ফয়জুল মতিন, মোরশেদ কাদের চৌধুরী, শিব্বির আহমেদ এবং এআইজি কুসুম আক্তার সোমাসহ শ্রম পরিদর্শকগণ উপস্থিত ছিলেন।

-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি