Home চট্টগ্রাম বাজেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা ব্যবসায় ধাক্কা

বাজেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা ব্যবসায় ধাক্কা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা:

ঢাকা: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা খাতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১২০০ ওয়াটের ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। এতে ব্যাটারিচালিত রিকশা তৈরির খরচ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে বাজেট ঘোষণার সময় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, “সারা দেশে অনিয়ন্ত্রিত ও নিরাপত্তাহীনভাবে চলা ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ব্যাটারিচালিত রিকশার দাম বাড়াবে, ফলে নতুন রিকশা তৈরির পাশাপাশি পুরনো রিকশা মেরামতের খরচও বাড়বে। এর প্রভাব সরাসরি ভাড়ার ওপর পড়বে, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের যাত্রীদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক শহরেই ব্যাটারিচালিত রিকশা এখন অন্যতম জনপ্রিয় ও সহজলভ্য পরিবহন। দিনে-রাতে লাখ লাখ মানুষ এই বাহনের ওপর নির্ভর করে যাতায়াত করেন। ফলে বাজেটে শুল্ক বৃদ্ধির এই প্রস্তাব নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিবহন খাত সংশ্লিষ্ট অনেকে এটিকে ‘প্রান্তিক পরিবহন ব্যবসার ওপর চাপ’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংকঋণ, বিদেশি সাহায্য এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

এটি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে উপস্থাপিত প্রথম বাজেট। সংসদ না থাকায় বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে বিটিভি, বেসরকারি টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে, যা ২০০৭-০৮ সালের পর আবারও ঘটলো।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্যয় সংকোচন ও কর বৃদ্ধির এই বাজেট একটি নিরীক্ষিত পথ বেছে নিয়েছে। তবে প্রান্তিক মানুষের ওপর চাপ কমাতে ভবিষ্যতে আরও ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন তারা।