বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষার সময় কক্ষ পরিদর্শককে মারধরের অভিযোগে ফিরোজ আহমেদ শাকিল নামে এক পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী ছাত্রদলের একজন নেতা এবং মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে নন্দীগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের ২০৩ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরীক্ষার সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও ফিরোজ আহমেদ শাকিল উত্তরপত্র জমা দিতে দেরি করতে থাকেন। হলগার্ড হিসেবে দায়িত্বে থাকা ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ফেরদৌস আলী নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার কথা জানিয়ে উত্তরপত্র চাইলে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং নিজেকে ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয় দিয়ে শিক্ষককে হুমকি দেন। একপর্যায়ে তিনি ওই শিক্ষককে মারধরও করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব সহকারী অধ্যাপক আমজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “পরীক্ষাকক্ষে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় তাকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
ফিরোজ আহমেদ শাকিল বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাঝগ্রামের বাসিন্দা এবং মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার পর বিকেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জেলা শাখা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ফিরোজ আহমেদ শাকিলকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সোহান ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ শাকিলকে সাংগঠনিক সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান ও সাধারণ সম্পাদক এমআর হাসান পলাশ এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
নন্দীগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফিরোজ আহমেদ শাকিলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ধরনের আচরণ ছাত্রদলের আদর্শ পরিপন্থী।”
এদিকে বৃহস্পতিবারের পরীক্ষায় জেলায় মোট ২৪৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে শিক্ষা কর্তৃপক্ষ।
নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. লায়লা আঞ্জুমান বানু জানান, আহত শিক্ষক জীবনের নিরাপত্তার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।