আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিনিধি দলেরসদস্য জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেছেন আওয়ামী লীগের-নেতাকর্মীরা।। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে ৮ নম্বর টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন যুবলীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২৮ মিনিটে তাকে আটক করা হয়। জানা গেছে, আটক ওই যুবলীগ নেতার নাম মিজানুর রহমান। তার বাড়ি সিলেটে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, এমিরেটসের একটি ফ্লাইট নিউইয়র্কের বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, এনসিপির আখতার হোসেন এবং ডা. তাসনিম জারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী তাদের ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন এবং আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয়। তাসনিম জারাকেও অশালীন ভাষায় গালাগাল করা হয়।
আখতার হোসেন প্রতিবাদে “ইনকিলাব জিন্দাবাদ” স্লোগান দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় গাড়িতে করে তারা বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগ করেন। আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা সেই প্রজন্ম যারা হাসিনার গুলির সামনে মাথা নত করিনি, ভাঙা ডিমে কিছু যায় আসে না। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।’
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন পাঁচ রাজনৈতিক নেতা—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, এনসিপির আখতার হোসেন এবং এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন জামায়াত নেতা মোহাম্মদ নকিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান তাসনিম জারা।
তিনি লিখেছেন, ‘আজ যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর আমাদের দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলা হয়েছে। তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয়েছে, গালিগালাজ করা হয়েছে। এটি ব্যক্তি আখতার হোসেনের ওপর আক্রমণ নয়, তার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে করা হয়েছে। কারণ, তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন সেই দলকে, যে দল ফ্যাসিবাদের কাঠামো ভেঙে দিতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এই হামলা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিলো যে পরাজিত শক্তির ভয় ও হতাশা কতটা গভীর। আমি নিশ্চিত এই আক্রমণ আখতার হোসেনকে এক বিন্দুও দুর্বল করবে না, তার দৃঢ়তা আরও বাড়িয়ে দিবে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন এবং ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।










