ক্যালেন্ডারের পাতায় আজকের ম্যাজিক নম্বর ‘২৫/১২/২৫’
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: আজকের দিনটি কেবল যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন বা বড়দিন হিসেবেই নয়, বরং তারিখের বিশেষ বিন্যাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আজকের তারিখটি যখন সংখ্যায় লেখা হয়, তখন তা দাঁড়ায় ২৫/১২/২৫। গণিতবিদ এবং সংখ্যাতাত্ত্বিকদের মতে, এটি এমন এক বিরল মাহেন্দ্রক্ষণ যা প্রতি ১০০ বছরে মাত্র একবারই ফিরে আসে।
আজকের তারিখটির প্রধান বিশেষত্ব হলো এর পুনরাবৃত্তি। দিন (২৫) এবং বছরের শেষ দুই সংখ্যা (২৫) একই। মাঝখানে রয়েছে বছরের শেষ মাস ১২। এই গাণিতিক বিন্যাসটি (DD/MM/YY) চোখে দেখতে যেমন সামঞ্জস্যপূর্ণ, তেমনি মনে রাখাও সহজ।
সংখ্যাতত্ত্ব বা নিউমারোলজির ভাষায়, আজকের তারিখটি একটি ‘প্যালিনড্রোম’ (Palindrome) বৈশিষ্ট্যের কাছাকাছি (যদিও পূর্ণাঙ্গ নয়, তবে বছরকে সংক্ষেপে লিখলে এটি এক ধরণের প্রতিসম রূপ নেয়)। অনেক সংখ্যাতাত্ত্বিক মনে করেন, এই ধরণের বিশেষ তারিখগুলো জীবনের নতুন কোনো অধ্যায় শুরু করা বা পুরনো কোনো চক্র শেষ করার জন্য অত্যন্ত শুভ।
ক্যালেন্ডারের এই বিশেষ সজ্জাটি শেষবার দেখা গিয়েছিল গত শতাব্দীর ১৯২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর। অর্থাৎ, ঠিক ১০০ বছর আগে পৃথিবীর মানুষ এই সংখ্যাতাত্ত্বিক মিলটি প্রত্যক্ষ করেছিল। আবার আগামী ১০০ বছর পর, অর্থাৎ ২১২৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর পুনরায় এই বিশেষ তারিখটি ফিরে আসবে। বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ মানুষের জীবনে এটিই প্রথম এবং শেষবারের মতো দেখা এই বিরল ‘২৫-১২-২৫’।
সকাল থেকেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এই তারিখটি নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নেটিজেনরা এই বিশেষ তারিখের স্ক্রিনশট শেয়ার করছেন। অনেকে একে বলছেন ‘সেঞ্চুরি ডাবল’।
ডিজিটাল টাইম ক্যাপসুল: অনেক ব্যবহারকারী আজকের দিনে বিশেষ কোনো স্মৃতি ধরে রাখছেন যাতে ভবিষ্যতে তারা বলতে পারেন, শতবর্ষের এই বিরল দিনে তারা কী করেছিলেন।
শুভেচ্ছা বার্তা: “Merry Christmas on 25/12/25” লিখে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
মানুষ সহজাতভাবেই প্যাটার্ন বা বিন্যাস পছন্দ করে। যখন ক্যালেন্ডারের দিন, মাস এবং বছর একে অপরের সাথে এভাবে মিলে যায়, তখন তা সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরণের কৌতূহল এবং আনন্দের সৃষ্টি করে। বড়দিনের উৎসবের সাথে এই বিরল তারিখের সমন্বয় যেন উৎসবে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আজকের এই ২৫/১২/২৫ তারিখটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সময় চক্রাকারে ঘোরে এবং শতবছর পর পর ইতিহাস এভাবেই সংখ্যা আর পঞ্জিকার পাতায় নিজেকে নতুন করে তুলে ধরে।










