যশোরে পারদ নামল ৯ ডিগ্রিতে, বিপর্যস্ত জনজীবন
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: পৌষের শেষলগ্নে এসে দাপট দেখাচ্ছে হাড়কাঁপানো শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে দেশ। আজ শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকাতেও জেঁকে বসেছে শীত, যেখানে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় শীতের এই তীব্রতা বাড়ছে। আগামী পাঁচ দিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
ভোর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দেশের সড়ক, নৌ ও আকাশপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস সতর্ক করেছে যে, মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং উড়োজাহাজ চলাচল সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। অনেক এলাকায় দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না, ফলে দিনের বেলাতেও যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
শীতের এই আকস্মিক তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল জনপদ। ভোরবেলা কাজের সন্ধানে বের হওয়া দিনমজুর ও রিকশাচালকরা ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়েছেন। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেককে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। যমুনা, পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র নদ সংলগ্ন চরাঞ্চলের মানুষ ঘন কুয়াশা আর কনকনে বাতাসে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে আটকে পড়া হাজারো যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাকের চালকদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। কনকনে ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে বা গাড়িতে রাত কাটানো হয়ে উঠেছে দুঃসহ।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শনিবার ও রবিবার: উত্তর ও নদী অববাহিকায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা স্থায়ী হতে পারে। সোমবার ও মঙ্গলবার: রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে, ফলে শীতের অনুভূতি আরও বাড়বে।
আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও আংশিক মেঘলা আকাশের কারণে রোদের তেজ খুব একটা অনুভূত হবে না। ফলে দিনের বেলাতেও শীতের আমেজ প্রবল থাকবে।










