হেলথ ডেস্ক:
গরমের দিনে নিজের শরীরটাকে হালকা ও চটপটে রাখতে চাইলে এখনই সময় খাওয়ার অভ্যাসে বদল আনার। তবে তার মানে এই নয় যে আপনাকে কোনও কঠিন ডায়েটে যেতে হবে। বরং শুধু কিছু পরিচিত খাবার বেছে না নিলেই অনেকখানি উপকার মিলবে।
পুষ্টিবিদ কিম পিয়ারসন জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার বড় একটি অংশ এখন আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার দখল করে নিয়েছে। এসব খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় এবং স্বাদের কারণে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এ ধরনের খাবার এড়িয়ে পুষ্টিকর, হোল-ফুড নির্ভর ডায়েট মেনে চলাই ভালো। এতে শরীরেও শক্তি বজায় থাকে এবং পেটও ভরা অনুভব হয়।’’
বিশেষজ্ঞের মতে, নিচের খাবারগুলো দীর্ঘমেয়াদে ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়:
-
পিৎজা: জনপ্রিয় হলেও একেকটি টেকঅ্যাওয়ে পিৎজায় ৩৭০০ ক্যালোরি পর্যন্ত থাকে। বদলে হোলগ্রেইন র্যাপে সবজি ও হালকা চিজ দিয়ে তৈরি হোমমেইড ভার্সন খান।
-
লাসানিয়া: প্যাকেটজাত লাসানিয়ায় থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও লবণ। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করুন কুমড়ার পাতলা স্লাইস, টমেটো সস ও সামান্য চিজ।
-
চিপস: প্রক্রিয়াজাত আলুর চিপসের বদলে ঘরে তৈরি অলিভ অয়েল মাখানো ওভেন রোস্টেড আলু খান।
-
ক্রোয়াসাঁ ও কেক: সাদা ময়দা ও মাখনের কারণে এগুলো দ্রুত হজম হয়ে যায় এবং ক্ষুধা বাড়ায়। পরিবর্তে ওটস, বাদাম ও কলা দিয়ে তৈরি হালকা মাফিন হতে পারে উপযুক্ত বিকল্প।
-
আইসক্রিম: ফ্রোজেন কলা, কোকো পাউডার ও ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট দিয়ে তৈরি হোমমেইড ‘নাইসক্রিম’ হতে পারে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঠান্ডা মিষ্টি খাবার খাওয়ার বিকল্প।
-
বার্গার ও ফ্রাইড চিকেন: দোকানের তৈরির পরিবর্তে ঘরে বেক করে চিকেন ও হোমমেইড বার্গার বানিয়ে নিন।
সবশেষে, কফিশপের অতিরিক্ত সুগার মেশানো পানীয় এড়িয়ে হালকা ব্ল্যাক কফি বা দুধ ছাড়া লাত্তে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পিয়ারসন।
‘‘আমরা যা খাচ্ছি, সেটাই আমাদের শরীরের প্রতিচ্ছবি। কয়েকটি ছোট পরিবর্তনই দীর্ঘমেয়াদে বড় উপকারে আসতে পারে,’’ বলেন তিনি।
কিম পিয়ারসন একজন স্বীকৃত পুষ্টিবিদ ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিউট্রিশন থেরাপিস্ট। তিনি গত এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। ওজন নিয়ন্ত্রণ, হরমোন ভারসাম্য, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি বিষয়ে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। কিম নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পুষ্টি বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং তার নিজস্ব পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘Kim Pearson Nutrition’–এর মাধ্যমে হাজারো মানুষকে স্বাস্থ্যকর জীবনধারার দিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করছেন।