আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২০০ কোটিরও বেশি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী রয়েছেন। সংখ্যার দিক দিয়ে বিশাল এই জনগোষ্ঠী কোনো না কোনোভাবে খ্রিষ্টান ধর্মের নির্দিষ্ট কোনো উপদল বা ‘ডিনমিনেশন’-এর সঙ্গে যুক্ত। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্টান ধর্মের প্রায় ৪৫,০০০-এরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন ধারা বিদ্যমান। তবে এই হাজারো ধারার ভিড়ে সবচেয়ে বড় এবং প্রভাবশালী দুটি পক্ষ হলো—ক্যাথলিক চার্চ এবং অর্থোডক্স চার্চ।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একই বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা এই দুই চার্চের বিভাজনের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ ও নাটকীয়।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বিভাজন
এই দুই প্রধান ধারাকে দুটি প্রাচীন বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যাদের শেকড় মাটির গভীরে একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। যিশুর প্রেরিত শিষ্য বা অ্যাপোস্টলদের রোপণ করা একই বীজ থেকে এদের জন্ম। কিন্তু উৎপত্তিস্থল এক হলেও, সময়ের বিবর্তনে এবং ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এই ‘গাছ’ দুটি ভিন্ন দিকে ডালপালা বিস্তার করেছে।
মূলত খ্রিষ্টান ঐতিহ্যের নিজস্ব ব্যাখ্যা, ভাষাগত ভিন্নতা এবং সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য এই দুই দলের মধ্যে দূরত্বের সৃষ্টি করে। যা ইতিহাসে ‘দ্য গ্রেট সিজম’ বা মহাবিভাজন হিসেবে পরিচিত।
কেন এই পার্থক্য?
কিন্তু প্রশ্ন হলো, ঠিক কোথা থেকে এই ফাটল বা বিভাজনের সূচনা? একই ঈশ্বরের উপাসনা করেও কেন এই দুই দলের আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্বাসে এত পার্থক্য? রোমান ক্যাথলিকরা পোপের একক কর্তৃত্বে বিশ্বাসী, অন্যদিকে অর্থোডক্সরা তাদের প্যাট্রিয়ার্ক বা ধর্মগুরুদের সমমর্যাদায় বিশ্বাস করেন—এমন বহু সূক্ষ্ম ও বৃহৎ পার্থক্যই এই দুই ধারাকে আলাদা করেছে।
একই উৎস থেকে জন্ম নিয়েও কীভাবে এই দুই চার্চ ভিন্ন ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করছে, তা ধর্মতত্ত্ব ও ইতিহাসের এক কৌতূহলোদ্দীপক অধ্যায়।










