সরকার গঠনের ‘মিথ’ ও মুক্তাদিরের চ্যালেঞ্জ
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেট-১ (সিটি কর্পোরেশন ও সদর) আসনের সেই ঐতিহাসিক প্রবাদ— “এই আসনে যে জয়ী হয়, সরকার গড়ে সেই দল”—এই সমীকরণকে সামনে রেখেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠ কাঁপাতে শুরু করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিকেলে সিলেটে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুক্তাদির। এসময় তার সাথে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও এক বিশেষ সংহতি লক্ষ্য করা গেছে। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা, সাংবাদিক, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি এবং চা শ্রমিকরা।
এসময় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদীয়া চৌধুরী মুন্নী, বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকি, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আশিক উদ্দিন, সহ-সভাপতি শাহজামান নুরুল হুদা, শহীদ আহমদ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ প্রমুখ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে আসার মাধ্যমে তিনি একটি ‘ঐক্যের বার্তা’ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির তার আগামীর রূপরেখা তুলে ধরেন:
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ: তিনি নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি ভোটারদের জন্য ভয়হীন পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান।
চা শিল্পের উন্নয়ন: সিলেটের ঐতিহ্যের ধারক চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন, আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
জবাবদিহিতার রাজনীতি: তিনি বলেন, “জনগণ সুযোগ দিলে আমরা প্রমাণ করব যে উন্নয়নের সুফল কেবল গুটিকয়েক মানুষের জন্য নয়, সবার জন্য।”
সিলেট-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে একসময় কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল। সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই আসনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত দল খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের ওপরই আস্থা রেখেছে (আরিফুল হক চৌধুরীকে সিলেট-৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে)।
এই আসনে এবারের নির্বাচনে বিএনপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকছেন জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য স্বতন্ত্র ও প্রভাবশালী দলের প্রার্থীরা। তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিশ্বাস, ২০২৪-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবং সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে খন্দকার মুক্তাদির ধানের শীষকে বিজয়ী করে সেই ঐতিহাসিক ‘সরকার গঠনের মিথ’ আবারও সত্য প্রমাণ করবেন।










