তপশিল ঘোষণা করলেন সিইসি
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে কাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই তফসিল ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচারিত এই ভাষণের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে নির্বাচনী কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো। এর ফলে রাজনৈতিক দল, ভোটার এবং সাধারণ মানুষ জাতীয় নির্বাচনের মূল প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করল।
নির্বাচনী সময়সূচি ও প্রস্তুতি
সিইসি তার ভাষণে জানান, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রায় ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সারা দেশে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রত্যাহার এবং প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রম এগিয়ে যাবে। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামতে পারবেন এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নিজেদের ইশতেহার তুলে ধরতে পারবেন।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচনী এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসি প্রস্তুত রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেছেন সিইসি।
রাজনৈতিক অঙ্গনে উৎসবের আমেজ
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলো। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, এনসিপিসহ ইসির নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে। ভোটারদের মধ্যেও নির্বাচনের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সিইসি তার ভাষণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।











