Home First Lead ইরানের সুপারসনিক সেজ্জিল মিসাইলে বিস্ফোরণ ইসরায়েলে

ইরানের সুপারসনিক সেজ্জিল মিসাইলে বিস্ফোরণ ইসরায়েলে

Sehjjil সৌজন্যে: x.com

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে। ইরানের সামরিক বাহিনী এবার সরাসরি ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে ছুড়েছে ভয়ঙ্কর ব্যালিস্টিক মিসাইল সেজ্জিল-২। বৃহস্পতিবার এই মিসাইল আঘাত হানে বেয়ারশেবা শহরের সোরোকাতে, যা চমকে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে।

তেহরান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’-এর দ্বাদশ ধাপে তারা সেজ্জিল-২ মিসাইল ব্যবহার করেছে। ভারতের দিল্লি থেকে ইরানি দূতাবাস এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে জানায়, ইরান তার কৌশলগত হামলায় এখন নিয়মিতভাবে সুপারসনিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করবে।

কী এই সেজ্জিল-২

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইরানের অন্যতম দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল সেজ্জিল-২, যা ২০০০ থেকে ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে হামলা চালাতে সক্ষম। এর পেলোড বহনের ক্ষমতা ৭০০ থেকে ১০০০ কেজি পর্যন্ত। দৈর্ঘ্যে এটি ১৮ মিটার, ব্যাস ১.২৫ মিটার, ওজন প্রায় ২৩,৬০০ কেজি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এমন একটি অস্ত্র—যার মাধ্যমে ইরান খুব সহজেই ইসরায়েলের ভেতরে কৌশলগত স্থাপনাগুলোতে সুনির্দিষ্ট হামলা চালাতে পারে। এর গতি ও পাল্লা এ অঞ্চলের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে।

প্রসঙ্গত, সেজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সূচনা ঘটে ১৯৯০-এর দশকে চিনের সহায়তায়। ২০০৮ সালে প্রথমবার উৎক্ষেপণের পর ২০১২ সাল পর্যন্ত কয়েকবার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। পরে এর পাল্লা বৃদ্ধি করে আধুনিকায়ন করা হয়।

আগেও ছিল আঘাত

ইরান এর আগে হাইপারসনিক ফাতাহ-১ মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে আঘাত এনেছিল, যার গতি ঘণ্টায় ১৬,০০০ থেকে ১৮,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে সেজ্জিল-২ এই প্রথম ব্যবহার হলো একেবারে হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর স্থাপনায়, যা সংঘাতের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে, মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মহল।