বিনোদন ডেস্ক:
বলিউড তারকা করিশ্মা কাপুর ও ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরের দাম্পত্যজীবন দীর্ঘদিন আগেই ভেঙে গেছে। তবে বিচ্ছেদের এত বছর পরও করিশ্মার তোলা কিছু অভিযোগ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। তারই মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর দাবি ঘুরে বেড়াচ্ছে হানিমুনের সময় করিশ্মাকে তার বন্ধুবান্ধবের কাছে ‘নিলামে’ তুলেছিলেন সঞ্জয় কাপুর।
২০০৩ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন করিশ্মা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুর। তবে এই বিয়ে আদতে ছিল চাপে পড়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত, এমন ইঙ্গিত মিলেছে করিশ্মার আদালতে দেওয়া বিবৃতি থেকে। বিয়ের পর করিশ্মা একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন। আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় করিশ্মা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, তাদের হানিমুন চলাকালীন সময়েই সঞ্জয় তাকে অন্য পুরুষদের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য করতে চেয়েছিলেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, করিশ্মা যখন এই প্রস্তাবে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান, তখন তাকে শারীরিকভাবে মারধর করা হয়। এমনকি একাধিকবার তার স্বামী তাকে তার পরিবারের সদস্যদের সামনেও অপমান করেছেন এবং তার আত্মমর্যাদায় আঘাত করেছেন।
শুধু তাই নয়, করিশ্মা জানান, তার শাশুড়িও এই নির্যাতনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। একবার করিশ্মার ছোট সন্তান অসুস্থ হলে, তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে অর্থ সাহায্য চাইলে সঞ্জয় তাকে হুমকি দেন এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন। সেইসময় একটি মেডিকেল বিলে স্বাক্ষর না করায় করিশ্মার বাবার উদ্দেশ্যে অপমানজনক বার্তাও পাঠানো হয়।
২০১৬ সালে এই দাম্পত্য কলহ আদালতের মাধ্যমে বিচ্ছেদে গড়ায়। তীব্র আইনি লড়াই ও সন্তানদের হেফাজতের প্রশ্নে দীর্ঘ মামলা শেষে তারা আলাদা হন। তবে করিশ্মা তার বক্তব্যে বারবার ইঙ্গিত দেন, এই বিবাহ ছিল নিছকই পারিবারিক চাপে নেওয়া সিদ্ধান্ত, যা শুরু থেকেই সুখী সম্পর্ক ছিল না।
বর্তমানে করিশ্মা কাপুর সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকছেন এবং অভিনয় জগতে ফিরে এসেছেন নিজস্ব গতিতে। সম্প্রতি একটি ওটিটি সিরিজে কাজ করেছেন তিনি।
এদিকে সঞ্জয় কাপুর বর্তমানে তার নতুন স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করছেন। যদিও এসব অভিযোগের কোনো সরাসরি জবাব তিনি এখনো দেননি।
এই ঘটনাগুলো আবার আলোচনায় এসেছে করিশ্মার সাক্ষাৎকার ও পুরনো আইনি নথিপত্র ঘিরে সাম্প্রতিক কিছু সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়ার পর। বিষয়টি শুধু বলিউড নয়, নারীর প্রতি সহিংসতা, পারিবারিক নিপীড়ন এবং তার আইনি প্রতিকার নিয়ে আবারও জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।