📌 প্রথম উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে দুটি প্রোটোটাইপ
📌 ২০২৭ সালের টেকনোফেস্টে দেখা যাবে যুদ্ধবিমান ‘কান’
📌 তরুণদের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে টেকনোফেস্ট: TAI প্রধান
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
তুরস্কের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’ (Kaan) এর উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পটির প্রধান সংস্থা Turkish Aerospace Industries (TAI) জানিয়েছে, যুদ্ধবিমানটির দুটি প্রোটোটাইপ বর্তমানে সংযোজন পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী বছরের শুরুতে এর প্রথম উড্ডয়ন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক সাক্ষাৎকারে TAI-এর সিইও মেহমেত দেমিরওলু বলেন, “আমরা দুটি প্রোটোটাইপ সংযোজন করছি। বছরের শেষ নাগাদ প্রথমটির কাজ শেষ হবে এবং পরের বছরের শুরুতেই তা আকাশে উড়বে। দ্বিতীয় প্রোটোটাইপটি তার পরপরই প্রস্তুত হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে তৃতীয় ইউনিটও যুক্ত হবে। এরপরই শুরু হবে ব্যাপক পরীক্ষামূলক অভিযান।”
তিনি আরও বলেন, “২০২৭ সালের টেকনোফেস্টে যুদ্ধবিমান কানকে দেখতে পাবেন সবাই।”
এই বছরের টেকনোফেস্ট প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় উত্তর সাইপ্রাসের লেফকোশা শহরে, যেখানে প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং হাজারো প্রযুক্তিপ্রেমী অংশ নেন।
দেমিরওলু বলেন, “৫০ বছর আগে যেখানে সাইপ্রাসে রেডিওও তৈরি করা যেত না, সেখানে আজ শত শত কোম্পানি প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। তরুণরা এগুলো স্পর্শ করছে, শিখছে, এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের।”
তিনি আরও যোগ করেন, “টেকনোফেস্ট তরুণদের মানসিকতায় বড় পরিবর্তন এনেছে। আগে যেখানে ভাবত ‘আমরা পারি না’, এখন তারা ভাবে ‘আমরা পারি, এরপর কী?’ এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য।”
তিনি বলেন, “সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৮ সালের শেষ নাগাদ আমরা প্রথম ‘কান’ বিমান তুর্কি বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করব। ২০২৭ সালের টেকনোফেস্টে এটি জনসমক্ষে উপস্থাপন করা হবে।”
দেমিরওলু আরও বলেন, “আমাদের এখন মূল লক্ষ্য হলো দ্রুত গণউৎপাদনে যাওয়া এবং উৎপাদন ক্ষমতা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানো। কারণ তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীসহ বন্ধুসুলভ অনেক দেশ থেকেই চাহিদা বাড়ছে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে আমরা এমন পরিমাণ বিমান তৈরি করব, যা আগে কখনও করিনি।”
তিনি জানান, TAI ইতিমধ্যে ‘কান’, ‘হুরজেট’, ‘হুরকুশ’ এবং ‘আনকা-৩’-এর মতো একাধিক প্রকল্পে কাজ করছে। এসব প্রকল্প সফল করতে হলে ব্যাপক উৎপাদন ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা জরুরি।
বর্তমানে ‘কান’ পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তিতে তৈরি হলেও ভবিষ্যতে এটি ষষ্ঠ প্রজন্মে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। “আমরা এখন এমন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছি, যা আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এর মধ্যে রয়েছে থ্রিডি প্রিন্টিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা,” বলেন দেমিরওলু।
একই সঙ্গে যুদ্ধবিমানটি রফতানির ক্ষেত্রেও সম্ভাবনা তৈরি করেছে বলে জানান তিনি। “কিছু দেশ ইতিমধ্যেই আমাদের আগ্রহ দেখিয়েছে, আরও কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তুরস্কের মিত্র ও বন্ধুপ্রতিম দেশগুলো আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য,” যোগ করেন তিনি।