বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: কাস্টমস্ এ্যাক্ট অ্যান্ড নিউ ভ্যাট এ্যাক্ট বিষয়ে দু’দিনের এক কর্মশালা আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামস্থ বিজিএমইএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম।
প্র্রধান আলোচক ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কাস্টমস কমিশনার এম ফখরুল আলম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যাক্স এন্ড ইনস্টিটিউট- এর সিইও শ্যামল চন্দ্র সরকার।
উদ্বোধনী ভাষণে আবদুস সালাম বলেন- বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বিশ্ব মন্দা সহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় ক্রমেই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সক্ষমতা হারাচ্ছে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে (জুলাই-জানুয়ারী) প্রথম ৭ মাসে রপ্তানির নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে (-) ৫.৭১%।
তিনি প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন বলেন- কাস্টমস্ ও ভ্যাট আইন ও বিধি বিধানসমূহ সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রে অস্পষ্ট ধারণার কারণে প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান সমূহ ভালোভাবে জানা প্রয়োজন। কাস্টমস্-এর বিদ্যমান ধাপ সমূহ কমিয়ে অটোমেশনের মাধ্যমে দ্রুত আমদানি পণ্য খালাস ও যথা সময়ে রপ্তানি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞান প্রয়োগ করে পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন। তিনি কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বর্তমান ক্রান্তিকাল উত্তরণ সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
কাস্টমস্ কমিশনার, চট্টগ্রাম এম. ফখরুল আলম বিশেষ অতিথির ভাষণে বলেন- পোশাক শিল্পের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত এবং সঠিক ভাবে সম্পাদনের জন্য দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। তিনি জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে পোশাক শিল্পের ইতিবাচক অবদানের প্রশংসা করেন। কাস্টমস্ ও ভ্যাট আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালাকে অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন। প্রশিক্ষণ আয়োজনে বিজিএমইএ’র সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন- বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি এ এম চৌধুরী সেলিম, ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিটির চেয়ারম্যান জনাব সাইফ উল্লাহ্ মনসুর।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বিজিএমইএ’র পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ আতিক, এনামুল আজিজ চৌধুরী, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, কাস্টমস্ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এমডি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, কো-চেয়ারম্যান সর্বজনাব কাজী মাহাবুব উদ্দিন জুয়েল, মীর্জা আকবর আলী চৌধুরী, মো. মহিউদ্দিন এফসিএমএ সহ বিপুল সংখ্যক পোশাক শিল্প মালিক।
বিভিন্ন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৮০ জন বাণিজ্যিক কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন।