বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চলমান ত্রাণ তৎপরতা একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে সময় ও অর্থের অপচয় এবং জটিলতা প্রচুর। তাই প্রয়োজন সমন্বিত মনিটরিং বা বিতরণ টিম গঠন।
এই অভিমত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ-এর। তিনি কক্সবাজারে রোহিংগা ক্যাম্প ইনচার্জ ছিলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর কোর্স করেছেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে সালাহউদ্দিন আহাম্মদ উল্লেখ করেন: যেকোন দান বা সাহায্য একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সময়ের ও অর্থের অপচয় এবং জটিলতা অনেক। আর স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রশ্ন থাকলে তা একক প্রচেষ্টায় কোনদিনই সম্ভব হবে না। এজন্য কাঠামোগত ব্যবস্থাপনা জরুরি। রোহিংগা ক্যাম্পে একজন ক্যাম্প ইনচার্জের নেতৃত্বে ও সমন্বয়ে যেসব সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হয় তা সাপোর্ট এনজিও (এসএমএস) এর মাধ্যমে যাচাইকৃত ও প্রস্তুতকৃত তালিকা অনুযায়ী মিলিটারি/ এনজিও/ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করা হয়। এ পদ্ধতিটি যথার্থ।
তিনি মনে করেন, বর্তমান করোনা সংকটে যারা সাহায্য করছেন তারা জেলা/উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ক্যাম্প ইনচার্জের অনুরূপ ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারেন। মাননীয় জনপ্রতিনিধির বা ব্যক্তি বিশেষের বা কোন প্রতিষ্ঠানের যেকোন সাহায্য ডিসি/ ইউএনও এর কাছে জানাতে হবে, তার পরিমান যতই কম হোক না কেন। এক্ষেত্রে কারো কোন প্রায়োরিটি বা নির্দিষ্ট কোন ইচ্ছা থাকলে তা সাহায্যের পরিমান ও আইটেমের সাথে জানান দিতে হবে। সকল প্রতিশ্রুত সাহায্যের আলোকে জনপ্রতিনিধির পরামর্শে ডিসি/ ইউএনও কর্তৃক তালিকা প্রস্তুতি এবং যাচাই করে পর্যায়ক্রমে প্রায়োরিটি ঠিক করে সাহায্যের ব্যবস্থা করা যায়। এক্ষেত্রে সরকারি সাহায্যসমূহও বিবেচনা করা যায়। সাহায্য বিতরণে স্বাস্থ্যবিভাগের পরামর্শ মোতাবেক সেনাবাহিনী বা খাদ্য বিভাগ বা টিসিবি বা আইনশৃংখলা বিভাগ বা ত্রান বিভাগকে কাজে লাগানো যায়। এক্ষেত্রে একটি বিতরণ কেন্দ্র চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট সময়ে উপকারভোগীদের নিয়ম মোতাবেক আসতে হবে ও যেতে হবে।
কে কি ধরণের সাহায্য কত পরিমান পেল তা রেকর্ডে থাকবে। পরিবার ভিত্তিক সাহায্য দেয়া যায়। সপ্তাহের খাদ্য সাহায্য একবারে দেয়া যায়। যার পরিবার পাওয়া যাবে না তাকে কোন পরিবারের কাছে বিশেষ সুবিধায় ন্যস্ত করে সমাজসেবা বিভাগের তত্বাবধানে রাখা যায়। মনিটরিং বা বিতরণ টিম গঠন করা যায় যেখানে স্বাস্থ্য বিভাগ, আইনশৃংখলা বিভাগ, প্রশাসন বিভাগ, জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিগন থাকবে স্ব স্ব বিতরন সংস্থার পাশাপাশি। এরা বিতরণ কার্যক্রম মনিটর করবে এবং তার ফলো আপ সমন্বয়কারীর নিকট জানাবে। । ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও সাফল্য বিবেচনায় এই পদ্ধতি ওয়ার্ড/ ইউনিয়ন ভিত্তিক সম্প্রসারিত হতে পারে। এতে ত্রাণ ব্যবস্থাপনা সুন্দর হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি জানান, আরআরআরসি ( শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার )’র সহযোগিতায় এই প্রস্তাব বাস্তবভাবে সফল করা যায়। প্রাথমিকভাবে কক্সবাজারে/ চট্টগ্রাম বিভাগে সহজে এই ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে বলে অভিমত সালাহউদ্দিন আহম্মদ-এর।